বড়দিনকে কেন্দ্র করে নানা রকম গল্প শোনা যায়। বড়দিনের রাতে লাল পোশাকে সাদা দাড়ি-গোঁফের সান্তা ক্লজ সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ান। তাঁর ঝোলানো ব্যাগে শিশুদের জন্য থাকে উপহার। বড়দিনে জেনে নিন সান্তা ক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি আর জিঙ্গেল বেলস গান নিয়ে কিছু তথ্য।
বিশ্বব্যাপী বড়দিনের আয়োজন মানেই টকটকে লাল পোশাকের সান্তা ক্লজ। লম্বা সাদা দাড়ির সেই সান্তার কাঁধে ঝোলানো থাকে ব্যাগ। কোমল পানীয়র ব্র্যান্ড কোকাকোলার বদৌলতেই নাকি আধুনিক এই সান্তার জন্ম। অথচ ১৯৩৩ সালে কোকাকোলা ক্রিসমাস উপলক্ষে তাদের এক বিজ্ঞাপনে সান্তা ক্লজকে এমন পোশাকে হাজির করে সাধারণ মানুষের সামনে। তবে এটা সত্য, আধুনিক সান্তা কোকাকোলা দ্বারা প্রভাবিত। তবে সান্তার লাল পোশাক ১৯০০ সালের পর থেকেই চালু ছিল। ১৮৭০ সালের দিকে কার্টুনিস্ট টমাস নাস্ট সান্তার বেশ কিছু রঙিন ছবি এঁকেছিলেন। সেই সব আঁকার ওপর ভর করেই ১৯২৩ সালে প্রথম আধুনিক সান্তা ক্লজকে দেখা যায়।
জিঙ্গেল বেলস গানটি না শুনলেই যেন বড়দিনের কিছু একটা বাকি থেকে যায়। জিঙ্গেল বেলস গানটি ১৮৫৭ সালে লিখেছিলেন জেমস পিয়ারপন্ট। পিয়ারপন্ট ছিলেন আমেরিকান। গানটির নাম মূলত ‘ওয়ান হর্স ওপেন স্লেই’। গানে থ্যাংকসগিভিং ও শীতকালীন বিভিন্ন মজার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ আছে।
বড়দিনের অন্যতম জনপ্রিয় অনুষঙ্গ ক্রিসমাস ট্রি। অথচ শুরুতে এটা ছিল না। বড়দিনে ক্রিসমাস ট্রি জনপ্রিয় করেন ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়ার স্বামী প্রিন্স অ্যালবার্ট। ১৯ শতকের গোড়ার দিকে গ্রেট ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারে বিপুল জার্মান অভিবাসী জনসংখ্যার কাছে ক্রিসমাস ট্রির জনপ্রিয়তা ছিল। তবে সবার মধ্যে ক্রিসমাস ট্রিকে জনপ্রিয় করে তোলেন রানি ভিক্টোরিয়া ও অ্যালবার্ট। ১৮৪৮ সালে লন্ডন নিউজে তাঁদের একটি ছবি প্রকাশের পর ক্রিসমাস ট্রি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান