গরমের তীব্রতায় রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতেই পারে। আর আপনার শরীর, মন ও কর্মক্ষমতার ওপর পড়তে পারে এর নেতিবাচক প্রভাব। তবে ভালো ঘুমের জন্যও রাতভর শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র চালিয়ে রাখা কিন্তু উচিত নয়। এমন অভ্যাস প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তা ছাড়া এটা ব্যয়সাপেক্ষও বটে। তার চেয়ে এমন কিছু করুন, যাতে ঘুমও আসে, পরিবেশের ক্ষতিও না হয়, আর বাড়তি খরচও গুনতে না হয়।
সন্ধ্যায় বা রাতে কাজ করতে হলে বাতি জ্বালাতেই হবে। তার চেয়ে বরং ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। তাহলে রাতে খুব বেশি কাজ করতে হবে না, বাতির প্রয়োজনীয়তাও কমবে। তা ছাড়া ভোরে ঘুম থেকে উঠলে সারা দিনের কাজের পর রাতে অনেকটাই ক্লান্ত বোধ করবেন। ঘুমও আসবে সহজে। সন্ধ্যায় বা রাতে অন্দরে আলোর প্রয়োজন হলে মৃদু আলো বেছে নেওয়া ভালো। অন্দরের এমন জায়গায় বাতি জ্বালান, যাতে অধিকাংশ আলো ঘরের দিকেই ছড়িয়ে যায়। সন্ধ্যায় বা রাতে যদি নিতান্তই উজ্জ্বল আলো জ্বালিয়ে কাজ করতে হয়, তা শোবার ঘর ছাড়া অন্য জায়গায় সেরে নিন। শোবার ঘরে খাওয়াও ঠিক নয়।
ভোরে ও সন্ধ্যায় যখন বাইরের আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে, তখন জানালা ও বারান্দার দরজা খোলা রাখুন। তবে দুপুরের গরম হাওয়া ও রোদ যাতে ঘরে না ঢোকে, সেদিকেও খেয়াল রাখুন। এ সময় জানালা ও বারান্দার দরজা আটকে রাখতে পারেন, পর্দা ছড়িয়ে রোদ আটকে দিন।
ভালো মানের ফ্যান ব্যবহার করুন। ফ্যান ঘোরার সময় শব্দ হলে কিন্তু আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। ফ্যান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
পোকামাকড়ের ভয় না থাকলে মেঝেতে বিছানা করতে পারেন।
হালকা রঙের সুতি কাপড়ের আরামদায়ক চাদর বিছিয়ে দিন। বালিশের কভারের জন্যও এ ধরনের কাপড় বেছে নিন।
বিছানায় সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে বাড়তি সরঞ্জাম রাখা থাকলে সরিয়ে ফেলুন। বিছানায় কেবল এক পরত চাদর বিছিয়ে ঘুমান।
গাছ রাখতে পারেন অন্দরে। বারান্দায়ও গাছ রাখা ভালো।
ঘুমের আগে আরামদায়ক পোশাক পরে নিন। গোসলও করে নিতে পারেন। ঘুমের অন্তত এক ঘণ্টা আগেই শরীরচর্চা সেরে নিন। মনকে প্রশান্ত রাখুন। মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। গরমের জন্য ঘুমাতে পারছেন না এবং এতে আপনার ক্ষতি হচ্ছে—এমন দুশ্চিন্তাও মনে জায়গা দেবেন না। স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখলে এমন কয়েক রাতের ঘুম না হওয়ার ধাক্কাও অনায়াসেই সামলে নিতে পারবেন, নিজের ওপর এ রকম বিশ্বাস রাখুন।
সূত্র: হেলথলাইন