শীত দুয়ারে হাজির। মৌসুম বদলের এই সময়টায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সর্দি-কাশি, গলা খুসখুস এ সময়ের পরিচিত ঘটনা। এসব সমস্যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গুরুতর কিছু নয়। ওষুধপথ্য ছাড়াই আপনাআপনি সেরেও যায়।
তবে ভোগান্তি হতে পারে অনেকটাই। ঘরোয়া টোটকা দিয়ে কমানো যেতে পারে এসব ভোগান্তি। এ অবস্থায় আরাম পেতে কিছু নির্দেশনা মানতে পারেন।
পানি
শীত না পড়তেই আবহাওয়া কিন্তু বেশ শুষ্ক হয়ে পড়েছে। এই সময় সবারই ঠিকঠাক পানি খাওয়া চাই। জ্বর হলে শরীর সহজেই পানিশূন্য হয়ে পড়ে। ঠান্ডায় নাক বন্ধ হয়ে গেলে অনেক ক্ষেত্রে মুখ দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে থাকি আমরা। সেই সময় মুখের ভেতরটাও শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে।
উষ্ণ পানীয়
ঠান্ডা লাগলে খানিকটা উষ্ণ পানীয় পানে বেশ আরাম মিলবে। খাওয়ার পানিটুকু সামান্য উষ্ণ করে নিলেও স্বস্তি পাবেন। চাইলে খেতে পারেন নানান রকম উষ্ণ পানীয়। হতে পারে সেটা আদা চা, তুলসী চা, লেবু চা। উষ্ণ স্যুপও খেতে পারেন। পুষ্টিকর উপাদানে তৈরি উষ্ণ স্যুপ খেলে একদিকে যেমন উষ্ণতার জন্য আপনার কষ্ট উপশম হবে, তেমনি পুষ্টির চাহিদাও মিটবে অনেকটা।
উষ্ণ ভাঁপ
ঠান্ডা লাগলে নাক-মুখ দিয়ে উষ্ণ ভাঁপ নিতে পারেন। গরম পানির পাত্র সামনে রেখে সহজেই এই ভাঁপ নেওয়া যেতে পারে। তবে কাঠকয়লা বা চুলার ধোঁয়া নেওয়ার চেষ্টা করবেন না যেন।
আদা
আদার রস থেকেও উপকার মিলবে। আদা-চা ছাড়াও কাঁচা আদা মিশিয়ে অন্যান্য পানীয় তৈরি করতে পারেন। স্যুপেও যোগ করতে পারেন আদা। আবার চাইলে আদা কুচি চিবাতেও পারেন।
রসুন
কাঁচা রসুন খেলেও ঠান্ডার সমস্যার বেশ খানিকটা উপশম হয়। শর্ষের তেল আর রসুন কুচি দিয়ে মুড়ি মেখে খেতে পারেন।
টক ফল
টক ফল খেতে পারেন। আরাম পাবেন। টক ফলে রয়েছে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধের সঙ্গে সম্পর্কিত। টক ফল খেলে খাবারে রুচিও বাড়বে।
গোসলে উষ্ণতা
জ্বর জ্বর লাগলে বা শরীর ম্যাজম্যাজ করলে অনেকে গোসল করেন না। এটি কিন্তু খুব একটা ভালো সিদ্ধান্ত নয়। বরং কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিলেই আরাম পাবেন।
বিশ্রাম
টুকটাক অসুস্থতাকে উপেক্ষা করবেন না। বিশ্রাম নিন। বিশ্রামের সময় শরীরের নিরাময় প্রক্রিয়া ঠিকঠাক চলার সুযোগ পায়।
হিউমিডিফায়ার
ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে অর্থাৎ, ঘর খানিকটা আর্দ্র রাখতে পারলে ভালো। ঠান্ডা লেগে গেলেও আপনার অস্বস্তি কম হবে, যদি ঘরটা আর্দ্র থাকে।
সূত্র: হেলথ লাইন, মায়ো ক্লিনিক