রাস্তায় দেখে লোকটাকে চেনা চেনা লাগছে। কোথায় যেন দেখেছেন, ঠিক মনে পড়ছে না। আবার অনেক সময় একজনকে আপনি চেনেন। কিন্তু নামটা ‘পেটে আসছে তো মুখে আসছে না’। কী যেন আনতে ফ্রিজটা খুললেন, খোলার পর বেমালুম ভুলে গেলেন। এমন সব পরিস্থিতিতে আমাদের অনেককেই প্রায়ই পড়তে হয়। ‘কি ফর সাকসেস’ অনুসারে জেনে নেওয়া যাক, যে পাঁচ উপায়ে বাড়াবেন স্মৃতিশক্তি।
১. ব্যায়াম ও মেডিটেশন
ব্যায়াম করলে যেমন পেশী বাড়ে, ঠিক তেমনি মস্তিষ্কের আকারও বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্কে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। অক্সিজেন ও গ্লুকোজ সরবরাহ বাড়ে। এ জন্যই পড়া মুখস্থ না হলে অনেক সময় হাঁটতে হাঁটতে পড়তে দেখা যায়। তখন সহজেই সেটি মনে থাকে। খোলা জায়গায় ব্যায়াম করুন। তাতে আপনার মস্তিষ্ক ভিটামিন ডি–ও পাবে। এ ছাড়া মেডিটেশন মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। চিন্তার ফোকাস ঠিক রাখে।
২. প্রতিদিন একমুঠো বাদাম
বাদাম, তেলের বীজ, মাছ—এগুলো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় একমুঠো বাদাম, কুমড়ার বীজ বা ব্লুবেরি রাখুন। তেলজাতীয় খাবার মস্তিষ্কের জন্য ভালো। এ ছাড়া চিনি কম খান। আর পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
৩. গান শুনুন
গান শোনার সময় যদি কারো মস্তিষ্কের ছবি তোলা যায়, তাহলে দেখা যাবে পুরো মস্তিষ্ক সুরের প্রভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মস্তিষ্ক সংগীতের স্মৃতি দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারে। এটা স্মৃতিভ্রংশের মতো মানসিক অবস্থা ঠেকাতে বেশ কার্যকর। তাই মাঝেমধ্যে গান শোনা যেতেই পারে।
৪. যা পড়ছেন তা দেখছেন কি?
আপনি যখনই কিছু পড়বেন, চেষ্টা করবেন, সেটি চোখের সামনে ‘চিত্রায়িত’ করতে। এতে সেটি সহজেই মনে থাকে। এভাবে কোনো কাজ বা কোনো নির্দেশনাকেও আপনি দৃশ্য বানিয়ে মাথার ভেতর ঢুকিয়ে ফেলতে পারেন।
৫. শোবার আগে
মনে করুন, রাতে ঘুমানোর আগে আপনার হাতে একটি তালিকা ধরিয়ে দেওয়া হলো। সেটি নিয়ে মুখস্থ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লেন। সকালে উঠে আপনি সেটা সহজেই বলতে পারবেন। রাতের বেলা আমাদের ঘুমের মধ্যে স্মৃতি সংরক্ষণের একটা বড় কার্যক্রম চলে। তাই আপনি যেটা ঘুমানোর আগে মুখস্থ করেন, মনে করেন বা ভাবেন, সেটি সহজেই ‘সেভ’ হয়ে যায়। তাই রাতে ঘুমানোর আগে নেতিবাচক কোনো কিছু নিয়ে ঘাটাঘাটি নয়। হালকা কোনো বই পড়ুন বা সুন্দর কোনো স্মৃতি মনে করে ঘুমিয়ে পড়ুন।