গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ে অনেকেই ভোগেন, যার অন্যতম কারণ আমাদের খাদ্যাভ্যাস। আমরা এখন ঘরের খাবারের পাশাপাশি রিচ ফুড, স্ট্রিট ফুড প্রচুর খাই। এসব খাবারে অতিরিক্ত মসলা যেমন দেওয়া হয়, তেমনই অস্বাস্থ্যকর তেলও ব্যবহার করা হয় প্রচুর। এসব থেকে গ্যাস্ট্রিক হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তবে অনেকেই প্রশ্ন করেন, গ্যাস্ট্রিকের জন্য দায়ী বেশি কোনটি—তেল নাকি মসলা, কোনটার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত?
গ্যাস্ট্রিক মূলত পরিপাকতন্ত্রের একধরনের জটিলতা। আমাদের পরিপাকতন্ত্রের কাজ হচ্ছে গ্রহণ করা খাবার বিভিন্ন খাদ্যরসের মাধ্যমে ভেঙে হজম করানো। কাজটি পরিপাকতন্ত্র একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে সম্পাদন করতে না পারলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সূত্রপাত হয়।
যখন কেউ বেশি বেশি গুরুপাক খাবার খান, যেমন অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার বা অত্যধিক মসলাযুক্ত খাবার, সে ক্ষেত্রে পরিপাকতন্ত্রের কাজ কঠিন হয়ে যায়। আমাদের অধিকাংশ খাবারে তেল ও মসলা ব্যবহার করতেই হয়। সেটা যদি স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরি করা হয়, তাহলে পেটের সমস্যা হয় না। অনেকে মনে করেন, অতিরিক্ত মসলাই গ্যাস্ট্রিকের জন্য একমাত্র দায়ী, ব্যাপারটি তা নয়। পরিমিত মসলা ব্যবহার করলে গ্যাসের সমস্যা হয় না, বরং কিছু ভেষজ মসলা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য উপকারী। তবে খাবারে অতিরিক্ত তেল গ্যাস্ট্রিকের জন্য দায়ী বটে। দোকানের খাবারগুলোয় অস্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করা হয় অনেক ক্ষেত্রে। এই তেল পরিপাকে জটিলতা বাড়িয়ে দেয়। শুধু তা–ই নয়, এসব তেল হৃৎপিণ্ডের রোগ আর কোলেস্টেরলের সমস্যাও বাড়িয়ে দেয়।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার জটিলতা অনেক। সুতরাং খাবার নির্বাচনে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত। অতিরিক্ত তেল বা মসলা দুটোই খাবারকে গুরুপাক ও অস্বাস্থ্যকর করে তোলে, এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।