নেটফ্লিক্সে নতুন একটি সিরিজ এসেছে। আইএমডিবিতে ভালো রেটিং, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘সেই’ রিভিউ, সিরিজটা না দেখলে ‘সমাজে’ আর মুখ দেখানো যাচ্ছে না। সারা রাত জেগে দেখলেন। ঘুমাতে গেলেন ভোরে। অফিসের ‘পাঞ্চ’ মিস। কম্পিউটারের স্ক্রিনের আড়ালে ঢুলুঢুলু চোখ দুটিকে আর লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। মিটিংয়ে ক্লায়েন্ট আর বসের সামনে ‘হাই’ না তোলাটাই হয়ে উঠছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়িতে মেয়ে ছবি এঁকে অপেক্ষা করছে, বাবা এলে দুজনে একসঙ্গে রং করা যাবে! এদিকে আপনি ঘরে ফিরেই বিছানায় এলিয়ে দিলেন শরীরটা। এভাবে একটা ভুল সিদ্ধান্তে ভন্ডুল হয়ে গেল একটি দিন। আপনি যদি মাঝেমধ্যেই এ রকম সাময়িক ভালো লাগার প্রলোভনে পা দেন, তবে লেখাটি আপনার জন্যই।
১. নেটফ্লিক্সকে ঘুমে বদলে ফেলুন। এর মানে হলো, রাত জেগে নেটফ্লিক্স দেখার অভ্যাসকে বিদায় করুন। ঘুমকে গুরুত্ব দিন। আট ঘণ্টা গভীর ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।
২. ‘ফাস্ট ফুড’ বাদ দিন। ঘরের খাবার খান। সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে টিফিনবক্স নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস করুন।
৩. অভিযোগ করা ছেড়ে দিন। যেদিন আপনি অভিযোগ করা ছেড়ে দেবেন, বুঝবেন, আপনি মানুষ হিসেবে পরিণত (ম্যাচিউর) হয়েছেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। অর্থাৎ অভিযোগকে কৃতজ্ঞতায় বদলে ফেলুন।
৪. টেলিভিশন দেখা বাদ দিয়ে ওই সময়ে শরীরচর্চা করুন।
৫. কার ঘাড়ে দোষটা চাপাবেন, সেই চিন্তা বাদ দিয়ে দায়িত্ব নিন। আপনি দায়িত্ব নিতে জানেন মানে আপনি অন্যদের চেয়ে দায়িত্বশীল আর শক্তিশালী।
৬. অযথা দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে কাজে মনোনিবেশ করুন।
৭. ক্লান্ত লাগছে? ফোন বন্ধ করে একটু ঘুমিয়ে নিন।
৮. কিচ্ছু ভালো লাগছে না? ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন, হেঁটে আসুন। গরম-গরম এক কাপ চা নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।
৯. আপনার মনের ভেতর কি দ্বিধা, সন্দেহ? চট করে পুরো বিষয় পয়েন্ট আকারে যুক্তি দিয়ে লিখে ফেলুন। মাথা ঠান্ডা করে বিষয়টা বিশ্লেষণ করুন। সবকিছু অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
১০. হতাশ লাগছে? প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান। শিশুদের সঙ্গে খেলুন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন বা কোথাও থেকে ঘুরে আসুন।
১১. রেগে যান? কার্ডিও ওয়ার্কআউট করুন।
১২. ‘শো অফ’ বন্ধ করুন। কথা বলুন। বেশি শুনুন। হাসুন। প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন। অন্যকে সাহায্য করুন। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। দৌড়ান। আরও তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান। আরও ভোরে উঠুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। ক্ষমা করুন, ভালোবাসুন।