অনেকেই চোখের পাতা লাফানোর সমস্যায় ভোগেন। কিছুক্ষণ পর সমস্যাটি আপনাআপনি ভালোও হয়ে যায়। কারও কারও আবার কয়েক দিন ধরেও চলতে পারে এমনটা। এমনকি মাসও পেরিয়ে যেতে পারে। সাধারণত এক চোখের পাতাই লাফাতে দেখা যায়। চোখের ওপরের পাতা কিংবা নিচের পাতা, যেকোনোটিই লাফাতে পারে হঠাৎ করে। চোখের পাতা লাফানোর সঙ্গে অন্য কোনো উপসর্গ না থাকলে এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। তবে অনুভূতিটি বেশ অস্বস্তিকরই বটে।
অতিরিক্ত চাপ বা ক্লান্তি থেকে এ রকম হয়ে থাকে। অতিরিক্ত চা-কফি কিংবা অ্যালকোহল গ্রহণ করার কারণেও এমনটা হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ উজ্জ্বল আলোয় থাকা, চোখে বা চোখের পাতার ভেতরের অংশে কোনো কিছু পড়লে বা আটকে গেলেও চোখের পাতা লাফায়। বায়ূ দূষণকারী নানা পদার্থ, বাতাসের প্রবাহ কিংবা ধূমপানও হতে পারে চোখের পাতা লাফানোর কারণ। চোখের বিভিন্ন অংশের প্রদাহ কিংবা চোখের স্বাভাবিক পানি শুকিয়ে যাওয়ার উপসর্গ হিসেবেও কারও কারও চোখের পাতা লাফাতে দেখা যায়। কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও এ রকম হয়ে থাকে।
ভয় পাবেন না। ভেবে দেখুন, আপনি কি অতিরিক্ত চাপে আছেন? চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে কাজ থেকে একটু বিরাম নিন। লম্বা একটা ঘুম দিন। চা-কফির পরিমাণ কমিয়ে দিন। অ্যালকোহল ও ধূমপান বর্জন করুন। বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন, যাতে বাতাসের প্রবাহ কিংবা বাতাসের দূষণকারী পদার্থ সরাসরি চোখের সংস্পর্শে না আসে।
চোখের পাতা লাফানোর সময় পুরো চোখ বন্ধ হয়ে এলে।
চোখের পাতা খুলতে অসুবিধা হলে কিংবা নিজ থেকেই বন্ধ হয়ে এলে।
একই সঙ্গে মুখ বা দেহের অন্য কোনো অংশ এভাবে লাফিয়ে উঠলে।
চোখ লাল হয়ে গেলে।
চোখ ফুলে গেলে।
চোখ থেকে পানিজাতীয় কিছু নিঃসৃত হলে।
দুই–এক সপ্তাহের ভেতর চোখের পাতা লাফানোর সমস্যাটি সেরে না গেলে।
ওপরের যেকোনো একটি সমস্যা দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক কারণ খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেবেন। অল্প কিছু ক্ষেত্রে চোখের পাতা লাফানোর সঙ্গে স্নায়বিক রোগের সম্পর্ক থাকে। তবে চিকিৎসা নিলে এসব সমস্যা সেরে যায়।