পরামর্শ দিয়েছেন ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের কনসালট্যান্ট, চর্ম, যৌন, এলার্জি, লেজার অ্যান্ড হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন ডা. মো. কামরুল হাসান চৌধুরী
প্রশ্ন: আমি একজন নারী, বয়স ২২ বছর। ২০১৫ সাল থেকে আমি ত্বকের অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগছি। বেশ কয়েকজন ডার্মাটোলজিস্ট দেখিয়েছি। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়েছি। কিন্তু অ্যালার্জির সমস্যা যায়নি। গত দুই বছর কোনো চিকিৎসক দেখাচ্ছি না। সর্বশেষ চিকিৎসক যে ওষুধ দিয়েছিলেন, সেটাই দুই বছর ধরে সেবন করছি। তবে প্রতিদিন না। দুই-তিন দিন পরপর সেসব ওষুধ সেবন করি। এতে অ্যালার্জি একটু নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমার মূলত ডাস্ট অ্যালার্জি। তবে ধুলাবালি থেকে দূরে থাকা তো সম্ভব নয়। তা–ও চেষ্টা করি নিরাপদে থাকার। এখন আমার কি আবার চিকিৎসা শুরু করা উচিত?
মারোয়া, ঢাকা
পরামর্শ: আপনার মতো আমরা অনেকেই এ ধরনের অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগে থাকি। এখন পর্যন্ত অ্যালার্জির কোনো পূর্ণ নিরাময় বা রোগমুক্তি আবিষ্কৃত হয়নি, যার যে জিনিসগুলোতে অ্যালার্জি হয়, তাঁকে যতটা সম্ভব সেই জিনিসগুলো এড়িয়ে চলতে হয়। একটা ব্যাপার খেয়াল রাখা জরুরি, সেটা হলো, নিজের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা আরও বাড়ানো। দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা যদি শক্তিশালী হয়, তবে অ্যালার্জিযুক্ত খাবার খেলে বা অ্যালার্জিক পরিবেশে গেলেও সমস্যা হবে না। এ ক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। রাত জাগা যাবে না। বর্তমান অবস্থা জানতে আপনি অ্যালার্জি প্যানেল পরীক্ষাটি করিয়ে নিতে পারেন। এটি একধরনের বিশেষ পরীক্ষা, যার মাধ্যমে আপনার কোন জাতীয় খাবার বা পরিবেশে অ্যালার্জি আছে, তা জানা যায়। সেই সঙ্গে আপনি একজন নাক-কান-গলা রোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়ে নিন। আপনার নাকের ভেতর কোনো পলিপ, সাইনাস, ডিএনএস বা এ ধরনের কোনো সমস্যা আছে কি না, তা জানা দরকার। পাশাপাশি একজন ত্বকবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে পারেন। ত্বক পরীক্ষা করে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার, লোশন, মেডিকেটেড সোপ এবং প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে বলে আশা করা যায়।