নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ওজন তো নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। তবে ওজন কমাতে তাড়াহুড়া করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে, সেটাও ভুলে যাবেন না। তাই ওজন কমাতে হবে ধীরেসুস্থে। রাতারাতি ওজন কমানোর ভাবনা তাড়িয়ে দিতে হবে মন থেকে।
ক্ষুধা লাগলে বা খাবার সময় হলে খাবার গ্রহণ করুন। না খেয়ে থেকে ওজন কমানোর চিন্তা করবেন না। বরং এমন খাবার বেছে নিন, যা খেলে পেটও ভরে, আবার ক্যালরি গ্রহণের মাত্রাটাও অতিরিক্ত হয়ে না যায়। ফলমূল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য (অর্থাৎ রিফাইন্ড বা পরিশোধিত শস্য নয়) বেছে নেওয়াই ভালো।
ব্যায়াম বা শরীরচর্চা অবশ্যই করবেন। তবে তা কেবল ওজন কমানোর উদ্দেশ্যেই নয়; শরীরটাকে ফিট রাখতে ব্যায়ামের অভ্যাস জরুরি। ব্যায়ামের ফলে আপনার পেশি সুস্থ থাকবে, হাড় সুস্থ থাকবে, ঘুম ভালো হবে। ওজন কমাতে ব্যায়াম করছেন, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত হারে ওজন কমছে না—এমন ভাবনা যাতে মনে স্থান না পায়। ব্যায়ামের অভ্যাস বজায় রাখলে ধীরে ধীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে। তাড়াহুড়া করে ওজন কমাতে গিয়ে নিজেকে অতিরিক্ত চাপে ফেলবেন না।
নিজেকে স্থূল দেখাচ্ছে, অন্যরা হাসাহাসি করছে—এসব ভাববেন না। ওজন কমানোর প্রজেক্ট যখন হাতে নিয়েছেন, তখন নিশ্চয়ই সাফল্য আসবে। এ এক ধৈর্যের পরীক্ষা। নেতিবাচক ভাবনার চাপে অনেকের ক্ষেত্রে মন থেকে খাওয়ার ইচ্ছাটাই যেন হারিয়ে যায়। তাই খেয়াল রাখা প্রয়োজন—
আপনার ইতিবাচক দিকগুলোর কথা মনে রাখবেন সব সময়। বিশ্বাস করুন, আপনি সুন্দর। স্রষ্টার প্রতিটি সৃষ্টিই তো সুন্দর। আপনি কেন সুন্দর হবেন না? সৌন্দর্যের উৎস হলো অন্তরাত্মা। আয়নার গায়েও লাগিয়ে রাখতে পারেন এমন কোনো সুন্দর বার্তা।
নানা রকম ইতিবাচক কাজের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা বাড়ান। বিশ্বজুড়ে কত–না অসহায় প্রাণ! তাদের পাশে দাঁড়ান। পথের কুকুরটাকে একটু খাবার দিন। কীভাবে সে আপনার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, হয়তো সেটিই মুগ্ধ হয়ে দেখবেন আপনি। নিজেকে আয়নায় কেমন দেখাচ্ছে, সে কথা মনেই পড়বে না।
নিজেকে সময় দিন। অর্থাৎ নিজের ভালো লাগার কাজগুলো করুন। বই পড়ুন, পছন্দের অডিও ক্লিপ শুনুন। পছন্দের পোশাক পরলেও মন ভালো হয়। লম্বা সময় নিয়ে গোসল করতে পারেন।
বিষণ্নতার বিরুদ্ধে জয়ী হোন মনের জোর দিয়ে।
পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যক।
অনলাইন দুনিয়ার বহুবিধ বার্তা দেখা থেকে বিরতি নিতে পারেন।