ঠান্ডা, জ্বর বা সর্দি–কাশি হলে কানব্যথা নিয়েও রোগীরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। ঠান্ডার সঙ্গে কানব্যথার সম্পর্ক কী? আবার এর চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকেরা নাকের ড্রপ দিতে বলেন। ব্যথা হলো কানে, তাহলে নাকে ড্রপ কেন?
আসলে এগুলো একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। আমাদের নাকের একটা টিউব কানের সঙ্গে সংযুক্ত, যাকে বলে ইউস্টাচিয়ান টিউব বা অডিটরি টিউব। এই নলের মাধ্যমে নাক বা গলার প্রদাহ কানে বিস্তৃত হয়ে কানে ব্যথা হয়। ঠান্ডা-গরম, মৌসুম পরিবর্তন, গৃহস্থালির ডাস্ট মাইট, সুগন্ধি, প্রসাধনী, ইলিশ মাছ, চিংড়ি, গরুর মাংসসহ বেশ কিছু খাবার, গাড়ির ধোঁয়া, কিছু ওষুধ এবং আরও অনেক কিছুর কারণেই নাকে অ্যালার্জি বা সর্দি হতে পারে। নাকে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হলো নাকব্যথা, নাকে জ্বালাপোড়া, ক্রমাগত হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ, মাথাব্যথা, সাইনোসাইটিস, কানব্যথা, জ্বর, শরীর ব্যথা।
এ জন্য অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে অডিটরি টিউব খোলার জন্য নাকের ড্রপও দিতে হয়। এতে বন্ধ কান খোলে এবং কানের ব্যথা ভালো হয়ে যায়। নাকের ড্রপের সঙ্গে এ সময় ব্যথা নিরাময়ের ওষুধ, অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার করা হয়। আর যদি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকে, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক সঠিক নিয়মে ও মেয়াদে খেতে হবে। তা না হলে জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক–প্রতিরোধী হয়ে উঠবে।
তাই নাকে সমস্যা হলে বা ঠান্ডা–জ্বর হলে কানে ব্যথা ও প্রদাহ হতেই পারে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী: বিভাগীয় প্রধান, নাক-কান-গলা বিভাগ, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা