গ্রীষ্ম শেষে বর্ষা শুরু হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে। তারপরও গরমের তীব্রতা কিন্তু কমছে না। অতিরিক্ত গরমে নানাবিধ অসুখ-বিসুখও দেখা দিচ্ছে। ঘরে ঘরে ঠান্ডা, কাশি, জ্বরের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। কিন্তু গরমেও কেন ঠান্ডা লাগে?
গরমে ঘাম থেকে লাগতে পারে ঠান্ডা। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে শরীরের ঘাম দেরিতে শুকায়। ঘামে ভেজা কাপড় শরীরে বেশ সময় ধরে থাকলে সেখান থেকেও ঠান্ডা বসে যায়।
গরমের সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা হয়। ঠান্ডা পানি পান করার কারণেও এমনটা হতে পারে। আবার ঘরের ভেতর অথবা কর্মস্থলে শীততাপনিয়ন্ত্রিত পরিবেশ আর বাইরে গরম ও আর্দ্রতা, তাপমাত্রার এই তারতম্যে ঠান্ডা বসে যায়। রাতে দীর্ঘক্ষণ ফ্যান বা এসি চালিয়ে রাখলে অনেকেরই ঠান্ডা লেগে যায়।
গরমের সময় ভাইরাস সংক্রমণও বেড়ে যায়। যে কারণে সাইনোসাইটিস, নাক ও গলায় প্রদাহের প্রকোপ দেখা দেয়।
১. নাক দিয়ে বাষ্প নেওয়া: নাক বন্ধ হলে গামলা অথবা মগে গরম পানি নিয়ে মাথা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে সেই গরম ভাপ নিন দিনে দুই থেকে তিনবার। মেন্থল বিহার করতে পারেন, কিন্তু দিনে একবারের বেশি মেন্থল ব্যবহার না করাই ভালো। গরম পানি নিয়ে শাওয়ার নিলেও নাক বন্ধের ভাব কমে যায়।
২. পানীয়: প্রচুর পানি খান। ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পানির ঘাটতি পূরণে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। ঠান্ডা লাগলে আদা দেওয়া লেবু–চা পান করতে পারেন। এ ছাড়া হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
৩. খাদ্যতালিকা: ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ ফল, যেমন লেবু, কমলা, আমলকী, আমড়া প্রতিদিন খেতে পারেন। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সর্দি–কাশিতে চিকেন স্যুপ খেলে ভালো হবে। এটি শরীরে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে। শর্ষে, রসুন, গোলমরিচ ইত্যাদি মসলাযুক্ত খাবার রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়।
৪.অ্যান্টিবায়োটিক: বেশির ভাগ সময় ঠান্ডা, কাশির এসব সমস্যা অ্যালার্জি বা ভাইরাসজনিত, যেখানে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অ্যান্টিহিস্টামিন, প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধই যথেষ্ট। তবে জ্বর ১০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে বা ১০ দিনের মধ্যে ভালো না হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ভালো।
৫. বিশ্রাম: ঠান্ডা, কাশি, জ্বর হলে শরীরকে বিশ্রাম দিতে হবে। তাড়াতাড়ি সুস্থতার জন্য ভাইরাস সংক্রমিত রোগে বিশ্রাম খুব গুরুত্বপূর্ণ।