আজ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। আমাদের চেনা অনেক তারকাই নিয়মিত যোগব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার চর্চা করেন। পড়ুন রুনা খানের অভিজ্ঞতা
মেয়ে রাজেশ্বরীর জন্মের সময় অনেক ওজন বেড়ে গিয়েছিল। ওজন কমানোর এমন কোনো পদ্ধতি নেই, রুনা খান তখন যা অনুসরণ করার চেষ্টা করেননি। শুধু যোগাসন শিখতেই ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন ছয়বার। কিন্তু ধারাবাহিকতা না থাকায় কোনোটাতেই সুফল মেলেনি। একসময় বুঝতে পারলেন, আর গড়িমসি করা যাবে না। যেভাবে হোক নিজেকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে হবে।
ডায়েটের পাশাপাশি শুরু করলেন যোগব্যায়াম। এখন নিয়মিত পাঁচ থেকে ছয় দিন ১ ঘণ্টা করে যোগ করেন। ‘ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে ছয়বারে যে আসনগুলো শিখেছিলাম, তাই দিয়েই শুরু করলাম। সুফলও মিলতে থাকল,’ জানালেন রুনা খান।
বিছানার ওপর ম্যাট ছাড়া আসন করাটা তার কাছে সহজ মনে হয়। আলাদাভাবে সময় বের করে মেঝেতে ম্যাট পেতে নেওয়াটাই বরং তাঁর কাছে ঝামেলা। এ সময় যাতে একঘেয়ে না লাগে, এ জন্য শচীন দেববর্মন, না হয় অদিতি মহসিন শোনেন। সর্পাসন ও পদহস্তাসন এই দুটি আসনে বেশি সুফল পেয়েছেন রুনা খান। সর্পাসনে পেট ও কোমরের মেদ কমার পাশাপাশি ডাবল চিন কমে আসে। যোগাসনের নিয়মানুযায়ী কোনো আসন পেছন দিকে ঝুঁকে করলে পরবর্তী আসন সামনের দিকে ঝুঁকে করা ভালো। এ জন্য সর্পাসনের পর রুনা খান পদহস্তাসন করে থাকেন। এ আসনে মাথা নুয়ে হাঁটুতে লেগে যাওয়ার কারণে মাথায় রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এই আসন পেটের মেদ কমাতেও সাহায্য করে।
রুনা খানের মতে, আজ আসন করে কাল আর করলাম না—এমন করলে কখনোই যোগের সুফল মিলবে না। ধারাবাহিকতা রাখাটা খুর জরুরি। রুনা খান যেটা আগে করতেন না। এখন নিয়মিত করছেন আর সুফল তো পাঠকেরাও দেখতে পাচ্ছেন।