রোজার সময় অনেকেই দাঁতের যত্নে উদাসীন থাকেন। এতে মুখে গন্ধ হয়, অফিস বা লোকসমাগমে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। রোজা রেখে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেক সময় নিজের কাছেই মুখে আঁশটে গন্ধ লাগে, এটাও দাঁত পরিষ্কার না করার কারণে হতে পারে। তাই রোজার দিনে দাঁতের যত্নে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।
দুই বেলা খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করতে হয়। সেটা যেকোনো সময়ের জন্যই সত্যি। শুধু রোজার ক্ষেত্রে পেস্ট ও ব্রাশসহকারে ইফতার ও সাহ্রির পর (দুবার) ভালো করে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ইফতারের পরই সম্ভব না হলে সন্ধ্যারাতে মূল খাবার খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করতে হবে। একইভাবে সাহ্রি খাওয়ার পরপর অর্থাৎ ফজরের নামাজের অজুর আগে ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। তাহলে মুখে জীবাণু হ্রাস পাবে।
রোজায় অবশ্যই মিসওয়াক করা যাবে, তবে নিয়মমতো। অপরদিকে অজু অবশ্যই মুখ পরিষ্কারের একটি ভালো মাধ্যম। রোজারত অবস্থায় নামাজের উদ্দেশ্যে অজু করা হয়, এ সময় কুলির মাধ্যমে মুখ পরিষ্কার হয়ে যায়। প্রতিটি অজুর সময় মিসওয়াক করা যায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে গড়গড়া না করে সামান্য পানি দিয়ে কুলি করা যেতে পারে। এতে রোজা ভাঙবে না। মনে রাখা উচিত রোজা অবস্থায় অজু ও ফরজ গোসলের সময় শুধু গড়গড়া করা নিষেধ, কিন্তু কুলি করায় নিষেধ নেই। তবে শুধু মুখ ভেজা রাখার জন্য কুলি করা যাবে না। কুলির পর অবশ্যই মুখে জমে থাকা অবশিষ্ট পানি থুতুর মাধ্যমে ফেলে দেওয়া উচিত। প্রয়োজন মনে করলে কোনো প্রকার পেস্ট ছাড়া শুধু ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে নিতে পারেন। রোজারত অবস্থায় মাউথওয়াশ ব্যবহার না করাই ভালো।
ইফতারের পর থেকে সাহ্রির আগপর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। শরবতে ইসুবগুলের ভুসি খাওয়া যেতে পারে, এতে পেটও ভালো থাকবে।
অবশ্যই তেলের জিনিস কম খাওয়া এবং প্রচুর শাকসবজি খাওয়া উচিত। শাকে আঁশ থাকায় দাঁত পরিষ্কার থাকে, সেই সঙ্গে অনেক ভিটামিন ও মিনারেল আছে।
কখনোই কয়লা, ছাই বা পাউডার ব্যবহার করা যাবে না। গুল বা তামাক তো কোনোভাবেই সেবন করা যাবে না।
ধূমপান পরিহার করা উচিত। ধূমপানে মুখের দুর্গন্ধ বাড়ে।
ডা. খোন্দকার আসীর ইনতিসার, সিনিয়র লেকচারার, সাফেনা ওমেন্স ডেন্টাল কলেজ ও রুট ক্যানেল স্পেশালিস্ট