একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, ঘাড় একদিকে বাঁকা হয়ে আছে, সোজা করতে গেলেই প্রচণ্ড ব্যথা করছে। তাই ঘাড় আর সোজা করা বা সোজাভাবে তাকানো সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থার নাম হলো টরটিকোলিস।
আমাদের ঘাড়ের দুই পাশে দুটি শক্ত মাংসপেশি থাকে, এগুলোর নাম ‘স্টারনোক্লাইডো মাস্টয়েড’। এই মাংসপেশির কাজ ঘাড়ের মুভমেন্ট বা নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করা। অনেক সময় হঠাৎ যেকোনো এক পাশের ‘স্টারনোক্লাইডো মাস্টয়েড’ মাংসপেশি টান খায় বা ‘মাসল স্পাজম’ হয়। তখন আক্রান্ত ব্যক্তির ঘাড় এক পাশে বেঁকে যায়, অন্যদিকে ঘোরাতে পারেন না।
কেন হয়
কোনো কোনো নবজাতক টরটিকোলিস নিয়েই জন্মাতে পারে। এটি তাদের প্রসবকালীন আঘাতের কারণে হয়ে থাকে। বেশির ভাগ সময় বড়দের টরটিকোলিস কোনো ছোট আঘাত বা ট্রমা থেকে কিংবা প্রদাহের কারণে হয়। অনেক সময় আপনি মনেই করতে পারবেন না, কখন আঘাত পেয়েছেন। কখনো ঘুমের মধ্যেই আঘাত পেয়ে থাকতে পারেন। ডিসটোনিয়া নামের নিউরোলজিক্যাল সমস্যায় টরটিকোলিস হতে পারে।
এমনটা হলে কী করবেন
● প্রথমে ঘাবড়ে না গিয়ে শান্ত হোন। হিটপ্যাড দিয়ে গরম সেঁক দিন। নরমভাবে ম্যাসাজ করুন।
● ঘাড় সারাক্ষণ একদিকে ঘুরিয়ে না রেখে ধীরে ধীরে এটি সচল করতেচেষ্টা করুন।
● আক্রান্ত মাংসপেশিকে রিল্যাক্স বা নরম করার জন্য মাসল রিলাক্সেন্ট গোত্রের কিছু ওষুধ ব্যবহার করা যায়।
● ব্যথা কমাতে ব্যথানাশক খেতে পারেন।
সাধারণত দু–এক দিনের মধ্যে এ সমস্যাস্বাভাবিক হয়ে আসার কথা। বড়জোর এক সপ্তাহ লাগতে পারে। তারপরও না সারলে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেন।