সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, চুল ভেজা থাকা অবস্থায় কেউ শুয়ে পড়লে তাঁর নির্ঘাত ঠান্ডা লেগে যাবে। কারও কারও ক্ষেত্রে তেমনটা হয়েও থাকে। তবে ভেজা চুল নিয়ে সারা রাত ঘুমিয়ে পরদিন সকালে দিব্যি সুস্থ থাকেন, এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। আসলেই কি ভেজা চুলের সঙ্গে সুস্থতার কোনো সম্পর্ক রয়েছে? জেনে নেওয়া যাক।
‘ঠান্ডা’ লেগে যাবে কি না
যাঁদের ঠান্ডায় অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁরা ভেজা চুল নিয়ে ঘুমালে মাথাব্যথা, সর্দি বা হাঁচি-কাশির মতো সমস্যায় ভুগতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা সাইনোসাইটিসে ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এমন সমস্যা হতে পারে। তাই এমন কোনো সমস্যা থাকলে ভেজা চুলে না ঘুমানোই ভালো। তবে এ ধরনের কোনো সমস্যা না থাকলে ভেজা চুলে ঘুমালেও ‘ঠান্ডা’লেগে যাওয়ার ঝুঁকি নেই।
ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে?
ভেজা ত্বক ও ভেজা চুলের গোড়ায় ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। ভেজা চুলে ঘুমালে মাথার ত্বকে প্রদাহ হতে পারে। খুশকির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
চুলের ক্ষতি হবে কি না
ভেজা চুল নিয়ে ঘুমালে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষত ভেজা চুল যদি বাঁধা থাকে, তখন চুলের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি।
যদি ভেজা চুলে ঘুমাতেই হয়
সব মিলিয়ে ব্যাপারটা কিন্তু এমনই দাঁড়াচ্ছে, ভেজা চুলে ঘুমালে কিছু সমস্যা হতেই পারে। তারপরও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন, যখন আপনাকে ভেজা চুলে ঘুমাতে হচ্ছে। এমনটা হলেও সুস্থ থাকতে আপনি যা করতে পারেন:
গোসলের আগে নারকেল তেল ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি কম হবে। এ ছাড়া গোসলের সময় শ্যাম্পু করে এরপর কন্ডিশনার ব্যবহার করা ভালো।
শোবার আগে অল্প সময়ের জন্য হলেও ফ্যানের নিচে চুল ছড়িয়ে বসুন। তার আগে শরীর ভালোভাবে মুছে নেবেন অবশ্যই। আঙুলের ফাঁকে ও শরীরের কোনো ভাঁজে যেন পানি রয়ে না যায়।
চুলের পানি ঝরিয়ে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুলের জট ছাড়িয়ে নিন।
রেশমি কাপড়ের বালিশের কভার ব্যবহার করতে পারেন ভেজা চুলে শোবার সময়। এ ধরনের কভার না থাকলেও নিদেনপক্ষে রেশমি কাপড় বিছিয়ে নিন বালিশের ওপর।
চুল বাঁধবেন না। চুল ছড়িয়ে দিয়ে ঘুমান।
ঘুমানোর সময় ঘরে যাতে পর্যাপ্ত বায়ুপ্রবাহ হয়, তা নিশ্চিত করে নিন।
সূত্র: হেলথলাইন