বারবার ঢেকুর ওঠে কেন, কী করব

মানসিক চাপে থাকলেও কারও কারও ঢেকুর ওঠে
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

খাবার খাওয়ার পর আয়েশ করে বেশ কয়েকটা ঢেকুর তুললেন কিংবা আপনি না চাইলেও একের পর এক বেরিয়ে এল ঢেকুর। এর পরপরই খেয়াল করলেন, আশপাশের মানুষের দেহভঙ্গিতে আপনার প্রতি বিরক্তি প্রকাশ পাচ্ছে। কেউ আবার মিটিমিটি হাসছে। একটু আয়েশ করে খাওয়াদাওয়াটা দোষের কিছু নয়। তবে কিছু বিষয়ে একটু সতর্ক থাকলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব। কেউ যদি বাতাস গিলে ফেলেন, তাহলে বারবার ঢেকুর ওঠে। আপনি হয়তো ভ্রু কুঁচকে ভাবছেন, কেউ বাতাস খায় নাকি! কেউ যদি খুব দ্রুত খাবার খান, তাহলে কিন্তু খাবারের সঙ্গে বাতাস গিলে ফেলেন তিনি। খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করলে খাওয়ার পর বারবার ঢেকুর উঠতে থাকে। চুইংগাম চিবানোর সময় কিংবা শক্ত লজেন্স চুষে খাওয়ার সময়ও খাদ্যনালিতে বাতাস ঢুকে যায়। সে ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে। সিগারেট খাওয়ার সময়ও ঘটে একই ঘটনা। সিগারেট খেলে বারবার ঢেকুর উঠতে পারে। আবার কার্বোনেটেড পানীয়, অর্থাৎ কোমল পানীয় খাওয়ার পর ঢেকুর হয়ে কার্বন ডাই–অক্সাইড গ্যাস বেরিয়ে আসে। সোডাজাতীয় পানীয়, অ্যালকোহল কিংবা কোনো উষ্ণ পানীয় খেলেও ঢেকুর উঠতে পারে। পেঁয়াজ, টমেটো, টকজাতীয় ফল এবং কৃত্রিম চিনিমিশ্রিত খাবার খেলেও ঢেকুর ওঠে। তা ছাড়া যে খাবার বা পানীয়ই খান না কেন, ভরপেট খেয়ে ফেললে ঢেকুর উঠতেই পারে। মানসিক চাপে থাকলেও কারও কারও ঢেকুর ওঠে।

কিছু বিষয়ে একটু সতর্ক থাকলে ঢেকুর ওঠার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব

ঢেকুর ওঠার সাধারণ কারণগুলো তো জানলেন। অন্য কারও সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কাজে বসার আগে বা মিটিংয়ের আগে এই বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন। যেসব পানীয় খেলে ঢেকুর উঠতে পারে, সেগুলো তো এড়িয়ে চলবেনই। অন্যান্য পানীয় কিংবা পানি খেতেও স্ট্র ব্যবহার করবেন না। খাওয়ার সময় কথা না বলাই ভালো। মানসিক চাপ সামলে নিন নিজের মতো করে, থাকুন আত্মবিশ্বাসী।

তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এসব কারণ এড়িয়ে চলার পরও ঢেকুর ওঠার মতো বিব্রতকর সমস্যা রয়ে যায়। কিছু রোগবালাই, যেমন বদহজম, গ্যাস্ট্রো-ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ, হায়াটাস হার্নিয়া (এসব রোগে পাকস্থলী থেকে ওপরের দিকে খাবার বা অম্ল উঠে আসে) কিংবা আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম), পাকস্থলীর আলসার ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ হিসেবেই ঢেকুর ওঠে। তাই প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।