অন্য একজন আপনার সঙ্গে কেমন আচরণ করবে, আপনার নিয়ন্ত্রণে সেটা নেই। কিন্তু আপনি কীভাবে সেটি সামলাবেন, সেটা আপনার নিয়ন্ত্রণে। অন্য কেউ যদি আপনাকে অপমান করে, সেই মুহূর্তে আপনি কেমন আচরণ করবেন? সেই বিষয়েই জানাচ্ছে ইনস্টাগ্রামের বিজনেস গ্রোথ মেন্টর অ্যাকাউন্ট।
১. শান্ত থাকুন। মনে রাখবেন, উত্তেজনা কোনো সমাধান নয়। শান্ত থাকাটা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। আপনি যদি শান্ত না থাকেন, তাহলে আপনার আর অপর পক্ষের ভেতর কী পার্থক্য থাকল? মাথা ঠান্ডা রাখুন। বিশ্বাস করুন এর ফল আপনি পাবেন।
২. যিনি আপনাকে কটূক্তি করেছেন, আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন, সমস্যাটা তাঁর। কেউ খারাপ ব্যবহার করলে সেখানে আপনার কোনো হাত নেই। এর দায় একান্তই অন্য পক্ষের। তাই কথাগুলো ‘ব্যক্তিগত’ভাবে নেবেন না। কোন কথা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন, নির্ভর করে ওই ব্যক্তি কে, তিনি কী পরিস্থিতিতে কথাগুলো বলছেন, আর কোন উদ্দেশ্যে বলছেন—এই তিন প্রশ্নের উত্তরের ওপর।
৩. অপর পক্ষ যা-ই বলুক না কেন, ইতিবাচকতা থেকে পিছু হটবেন না। কোনো কিছু নিয়ে অনুশোচনা করবেন না। অনুশোচনায় কেবল সময় নষ্ট হয়, নিজের হতাশা বাড়ে। অনুশোচনা কোনো সমাধান বয়ে আনে না। ইতিবাচক পরিবর্তনে বিশ্বাসী হোন। এমন কিছু করুন, যাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। যত দিন ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করছেন, তত দিন আশা থাকবে।
৪. কথা দিয়ে জবাব দিতে যাবেন না। কাজে বিশ্বাসী হোন। কাজের মধ্য দিয়ে উত্তর দিন। অপর পক্ষ যাতে নিজেই অনুধাবন করতে পারেন যে তিনি ভুল ছিলেন। কথায় বলে, সফলতার চেয়ে বড় প্রতিশোধ আর নেই। আপনি প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে সফলতার পেছনে ছুটবেন, বিষয়টা এমন নয়। বরং আপনি যদি সফল হন, সেটা তাঁদের জন্য একটা বার্তা হিসেবে পৌঁছাবে যে তাঁরা ভুল ছিলেন।
৫. ভালো কাজের জন্য উদ্বুদ্ধ, উৎসাহী, ইতিবাচকতায় ভরপুর, কৃতজ্ঞ আর খোলা মনের মানুষদের আশপাশে থাকুন। এতে আপনার এ রকম কোনো পরিস্থিতিতে পড়তেই হবে না।
৬. কী বলছে, বুঝে উঠতে অপর পক্ষকে একটু সময় দিন। একটা সম্ভাবনা থাকে যে তিনি তাঁর ভুল নিজে নিজেই অনুধাবন করবেন।
৭. একান্তই যদি নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে ওই স্থান পরিত্যাগ করুন। হাঁটুন, দৌড়ান, কারও সঙ্গে কথা বলুন। এমন কিছু করুন, যাতে আপনার শরীর ঘামে। এতে আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। কেননা, ঘামলে হ্যাপি হরমোন নিঃসৃত হয়।