বসন্ত শুধু প্রকৃতিতে রং নিয়ে আসে না, সঙ্গে করে নিয়ে আসে পরাগরেণু। আর এর থেকে হতে পারে হে ফিভার ও অ্যালার্জি।
বসন্ত মানেই গাছে গাছে পরাগরেণু। বসন্তে বিভিন্ন গাছে ফুলের পরাগায়ন হতে শুরু করে। এই পরাগায়ন প্রকৃতিকে ফুলে-ফলে সাজিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে হলেও অনেকের জন্যই তা বয়ে আনতে পারে অস্বস্তি। এর অন্যতম কারণ ফুল থেকে বাতাসে উড়ে বেড়ানো পোলেন, বাংলায় যা পরাগরেণু হিসেবে পরিচিত। এ পরাগরেণু অ্যালার্জির একটি কারণ।
অন্যদিকে এ সময় শুষ্ক আবহাওয়াও বহাল থাকে, পরিবেশে থাকে প্রচুর ধুলাবালু। এ দুইয়ে মিলে বসন্তের বাতাস যতই মৃদুমন্দ হোক না কেন, অনেকের নাকেই তা অস্বস্তির সৃষ্টি করে; বিশেষ করে যাঁরা আগে থেকেই অ্যালার্জিপ্রবণ, তাঁরা এসব পরাগরেণু ও শুষ্ক ধুলাবালুর প্রতি অতি সংবেদনশীল।
উপসর্গ ও লক্ষণ
পোলেন বা পরাগরেণুজনিত এই অ্যালার্জি পোলেন অ্যালার্জি, স্প্রিং অ্যালার্জি ইত্যাদি নামে পরিচিত। এ ধরনের অ্যালার্জির উদ্রেককারী বস্তুটি যেহেতু বাতাসে ভেসে বেড়ায়, তাই এটি প্রথম আক্রমণ করে নাকের ঝিল্লিকে, তখন শুরু হয়ে যায় হাঁচি; যার পরিণাম নাক বন্ধ হওয়া, নাক দিয়ে তরল পানি ঝরা। কখনো কখনো কারও কারও ক্ষেত্রে হাঁচি, সর্দি তীব্র আকার ধারণ করে। শরীরে কিছুটা জ্বর বোধ হয়। চোখ লাল হয়ে চুলকাতে থাকে। এ অবস্থাকে বলা হয় হে ফিভার। শুধু যে নাক-চোখ চুলকায় তা নয়, অনেকের ত্বকও চুলকাতে থাকে। এ ছাড়া ক্লান্তিবোধও হয়।
করণীয়
হে ফিভার ও অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হলে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ ও নাকের স্প্রে গ্রহণ করতে হবে।
উপসর্গ অনুযায়ী নাকে গরম পানির বাষ্প টানলেও উপকার হয়।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে ভালো।
প্রতিরোধের জন্য এ সময়ে মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডা. সাইফ হোসেন খান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার