কর্টিসল ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামে বেশি পরিচিত। এককথায় মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা, হতাশা—এগুলোর জন্য এ হরমোনই প্রাথমিকভাবে দায়ী। যদিও এই হরমোন বিপাক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ, প্রদাহ কমানো ও স্মরণশক্তি গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। জরুরি বা ভয়ের পরিস্থিতিতে রক্তে এই হরমোনের নিঃসরণ ঘটায় অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। এটা দেহের স্বতঃস্ফূর্ত আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা। এটুকু পড়ে আপনার মনে হতে পারে, কর্টিসল তো তাহলে ভালোই। আসলে বিষয়টি ‘জটিল’। কেননা আমাদের শরীর স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজনীয় কর্টিসল নিঃসরণ করে। তাই মানুষ মূলত অতিরিক্ত কর্টিসলের সমস্যায় ভোগে।
কর্টিসলের জোয়ার–ভাটা শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই ঘটতে থাকে। পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ও মানসিকভাবে ভালো থাকার ভেতর দিয়ে এর ভারসাম্য রক্ষা হয়। তবে বিশেষ করে ব্যস্ততম নাগরিক জীবন, অর্থনৈতিক মন্দা, বাজার ব্যবস্থার নানা সংকট, সামাজিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে শরীরে বইতে থাকে কর্টিসলের জোয়ার। রক্ত, প্রস্রাব ও লালা পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে অতিরিক্ত কর্টিসলের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়।
শরীরে কর্টিসল বেশি থাকলে কী হয়
অতিরিক্ত পরিমাণে কর্টিসল মানসিক চাপের সঙ্গে সঙ্গে আরও নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক জটিলতার কারণ। শরীরে অতিরিক্ত কর্টিসল থাকলে অনিদ্রা, হজমের সমস্যা, কাজে উদ্যম না পাওয়া, উৎকণ্ঠা, মেজাজ হারানো, অস্থিরতা, স্মরণশক্তি লোপ পাওয়া, পেশির দুর্বলতা, শীত শীত ভাব এমনকি নারীদের শরীরে অনাকাঙ্ক্ষিত লোম গজানোর মতো সমস্যা হতে পারে।
দীর্ঘ মেয়াদে শরীরে কর্টিসল বেশি থাকলে কী হয়
শরীরে দীর্ঘ মেয়াদে, কয়েক বছর ধরে উচ্চমাত্রায় কর্টিসল থাকলে যৌনাকাঙ্ক্ষা কমে যেতে পারে। বন্ধ হয়ে যেতে পারে পিরিয়ড। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। বেড়ে যেতে পারে ওজন।
জেনে নেওয়া যাক গবেষণায় পাওয়া এমন ১০ খাবারের কথা, যেগুলো রক্তে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
সূত্র: হেলথ ডটকম ও মায়ো ক্লিনিক