মুঠোফোন নিয়ে আমরা কত জায়গায়ই না যাই প্রতিদিন। বাড়িতেও যখন-তখন ব্যবহার করি। আর এভাবে আপনার মুঠোফোনই যে হয়ে উঠতে পারে নানা জীবাণুর উৎস, তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন? ২০২৩ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৯২ শতাংশ মুঠোফোনেই ক্ষতিকর জীবাণুর অস্তিত্ব রয়েছে। তাই নিয়মিত আপনার মুঠোফোনটি পরিষ্কার করার বিকল্প নেই।
পরিষ্কারের নিয়মকানুন
মুঠোফোনের পাওয়ার বন্ধ করে পরিষ্কার একটি মাইক্রোফাইবার কাপড় দিয়ে হালকাভাবে রোজ মুছে ফেলুন। কাভার থাকলে মোছার আগে খুলে ফেলুন। আলাদাভাবে কাভারটিও মুছে নিন। প্রতিবার বাইরে থেকে ফেরার পরই এভাবে মুঠোফোনটি মুছতে পারলে সবচেয়ে ভালো। তা না পারলে অন্তত সপ্তাহে দুই বার মুছে নিন ফোন। মুঠোফোনে তোলা ছবি ঘোলাটে হয়ে এলে বুঝতে হবে, ক্যামেরার লেন্সে ময়লা জমে গেছে। তখন লেন্সগুলোও এভাবে মুছতে হবে।
রোজকার পরিচ্ছন্নতার বাইরেও যা করা প্রয়োজন
মাঝেমধ্যে মুঠোফোনকে জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া ভালো। তবে এ জন্য কোনো জীবাণুনাশক দ্রবণ ব্যবহার করা উচিত নয়। তাতে ফোন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর চেয়ে বরং অ্যালকোহল প্যাড ব্যবহার করুন। অ্যালকোহল প্যাড ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রথমে মুঠোফোনের পাওয়ার বন্ধ করে নিতে হবে। কাভারটাও খুলে নিন। স্পিকার, এয়ারপিস, লক বাটন এবং চার্জের জন্য নির্ধারিত পোর্ট এবং অন্য যেসব খাঁজে ময়লা জমতে পারে, সেগুলো কটন বাড দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর অ্যালকোহল প্যাড দিয়ে মৃদুভাবে পরিষ্কার করে নিন ফোনের অন্য সব অংশ এবং ফোনের কাভার। তবে ক্যামেরার লেন্স অ্যালকোহল প্যাড দিয়ে পরিষ্কার না করাই ভালো। অ্যালকোহল শুকিয়ে যাওয়ার জন্য ফোন এবং কাভার পরিষ্কার জায়গায় খোলা বাতাসে রেখে দিন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ব্যবহার করুন।
জানা থাকা ভালো
ফোন রাখার জন্য ব্যাগের আলাদা একটা ছোট ‘পকেট’কে নির্দিষ্ট করে নিতে পারেন, যাতে তা অন্য কিছুর সংস্পর্শে না আসে।
বাড়ির বাইরের যে জায়গা অনেকেই ব্যবহার করেন, সেখানে ফোন রাখবেন না। এই যেমন রেস্তোরাঁর টেবিল কিংবা সুপারশপের বিল কাউন্টার।
গণপরিবহনে ফোন ব্যবহার না করাই ভালো।
ফোন স্পর্শ করার আগে হাত ধুয়ে নেওয়াও ভালো অভ্যাস।
ফোনে রেসিপি দেখে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে বরং রান্নাঘরে ঢোকার আগেই তা কাগজে টুকে নিন। আর রান্নাঘরে নিয়ে যান ওই কাগজ।
স্ক্রিন প্রটেক্টরের কিছু অংশ উঠে এলে তা একেবারেই ফেলে দেওয়া ভালো, নাহলে সেখানে ময়লা জমতে পারে।
সূত্র: রিডারস ডাইজেস্ট