গোসল ও প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
মাঘের শুরুতে বেশ শীত পড়েছে। এ রকম শীতে ত্বকের যত্নে সতর্ক থাকতে হবে। শীত তাড়াতে রোদ পোহানোর অভ্যাস অনেকের। কিন্তু ত্বককে সুন্দর তরতাজা আর উজ্জ্বল রাখতে হলে অতিরিক্ত সূর্যরশ্মি অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি এড়িয়ে চলতে হবে। সে ক্ষেত্রে একটি ছাতা বা টোকাজাতীয় টুপি ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা রোদে বেরোনোর সময় উৎকৃষ্ট সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
সানস্ক্রিন: প্রশ্ন আসতে পারে, কোন ধরনের সানস্ক্রিন কার জন্য প্রযোজ্য? এ ক্ষেত্রে প্রথমেই ত্বকের রং বিবেচনায় আনতে হবে। যে ত্বকের রং যত ফরসা বা সাদা, সে ত্বক সূর্যালোকে তত বেশি নাজুক। তার তত বেশি এসপিএফ সানস্ক্রিন লাগবে।
বাদামতেল: শীতে ত্বক শুষ্ক ও জীর্ণ হয়ে পড়ে। এ জন্য শীতে বাদামতেল বা এভাকাডোসমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কিনুন। এগুলো ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যতবার ত্বক শুষ্ক মনে হবে, ততবার ব্যবহার করুন।
গোসল ও প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
পানির ব্যবহার: আর্দ্রতা বজায় রাখতে মাঝেমধ্যে মুখে পানির ঝাপটা দিন। কিন্তু অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত গরম পানি মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে ও আরও শুষ্ক করে দেয়।
গোসলের সময়: গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা জোজোবা বা বাদামতেল দিয়ে নিলে তা ত্বককে আর্দ্র ও মসৃণ করতে সহায়তা করে। গোসলের পর ও প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
ফাউন্ডেশনের ব্যবহার: মেকআপ করার সময় লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। শীতকালে ক্রিম ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন।
ঠোঁটের যত্নে: কখনোই জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে ঠোঁট কখনোই ফেটে যাবে না।
চুলের যত্নে: শীত মৌসুমে কখনোই ভেজা চুলে বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। এতে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয় ও চুল ভেঙে যায়। চুল ও মাথার তালুর আর্দ্রতা ধরে রাখতে হ্যাট বা টুপি পরুন। তবে হ্যাটটি যাতে বেশি টাইট না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখবেন।
শেষ কথা—সর্বোপরি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে প্রচুর পানি পান করুন। তাজা ফলমূল খান।
ডা. দিদারুল আহসান, চর্মরোগবিশেষজ্ঞ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আল-রাজি হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা