রক্তের চর্বির পরিমাণ জানতে লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। ভালো ও খারাপ মিলিয়ে কয়েক ধরনের কোলেস্টেরল আছে। যেমন টোটাল কোলেস্টেরল, লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল), হাইডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) ও ট্রাইগ্লিসারাইড কোলেস্টেরল (টিজি)। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল, টিজি) কমানোর জন্যই মূলত ওষুধ দেওয়া হয়, যা আবার ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়াতেও বেশ খানিকটা সাহায্য করে। সোজা কথায় এই ওষুধগুলো খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে বেড়ে যায় হৃদ্রোগ, স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি। আপনার বয়স, ওজন, পারিবারিক ইতিহাস, আনুষঙ্গিক ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাসের সঙ্গে লিপিড প্রোফাইল বিবেচনা করে চিকিৎসক আপনাকে কোলেস্টেরলের ওষুধ দিতে পারেন। কোলেস্টেরল কমানোর জন্য দেশে–বিদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো স্ট্যাটিন গ্রুপের ওষুধ যা আমাদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।
খাওয়ার নিয়ম
কোলেস্টেরলের জন্য দেওয়া ওষুধগুলো সাধারণত দিনে একবার করেই দেওয়া হয়, বিশেষত রাতে এবং খাওয়ার আগেই খেতে বলা হয়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, খাওয়ার ১ থেকে ২ ঘণ্টা আগে খালি পেটে খেতে পারলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়, তাহলে ওষুধটা কাজ করার উপযুক্ত পরিবেশ পায়। তাই ২ ঘণ্টা না হোক, খাবারের অন্তত আধা ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা আগে খেলেই ভালো।
কখন খাওয়া বন্ধ করবেন
যেহেতু একবার স্ট্রোক করা বা একবার হার্ট অ্যাটাক হওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে আবারও একই রোগের ঝুঁকি থেকেই যায়, তাই রোগীর নিজে থেকে বা ডাক্তার ছাড়া অন্য কারও কথায় কোলেস্টেরলের ওষুধের ডোজ কমানো বা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভালো। সাধারণত এই ওষুধ আজীবনই খেতে হয়।
আরও কিছু
অনেকে আবার শরীরের মেদ কমানোর জন্য বা এমনিতেই নিজে নিজে ওষুধ খান, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন (১ মিনিটে ৪০-৬০ কদম হিসাবে), খাবারে, বিশেষ করে রাতের খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ পরিমিত রাখেন, তাহলে শরীরের মেদ এমনিতেই কমা শুরু করবে।
মেডিকেল অফিসার, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড