শীতকালে বায়ুদূষণ বেড়ে যায় বলে সর্দি-হাঁচি-কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্টও হয়
শীতকালে বায়ুদূষণ বেড়ে যায় বলে সর্দি-হাঁচি-কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্টও হয়

শীতকালীন এই ৬ রোগবালাইয়ের ব্যাপারে আপনি কতটা সতর্ক?

শীতকালে নানা রকম রোগবালাই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে কিছু রোগ বেশি দেখা যায়। একটু সতর্ক থাকলে ভালো থাকা যায়। আসুন, জেনে নেওয়া যাক এমন রোগবালাই এবং এগুলো থেকে কীভাবে ভালো থাকা যায় সে সম্পর্কে।

ভাইরাস জ্বর

শীতকালে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, অ্যাডিনোভাইরাস, রাইনোভাইরাস ইত্যাদি জ্বরের জন্য দায়ী।

অ্যাজমা বা হাঁপানি

শীতে অ্যাজমা বেড়ে যায়। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে, বাড়ে ধুলার পরিমাণ। এতে শ্বাসকষ্ট বাড়ে। শীতকালে বায়ুদূষণও অনেক বাড়ে। সর্দি-হাঁচি-কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ সৃষ্টি করে ও আওয়াজ হয়।

নিউমোনিয়া

শীতে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে নিউমোনিয়া হয়। শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা এতে বেশি আক্রান্ত হন। জ্বর, কাশি, বুকব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি নিউমোনিয়ার লক্ষণ।

সিওপিডি

ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত ফুসফুসের ব্যাধি। এ রোগে ফুসফুস থেকে বায়ুপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়।

চর্মরোগ

শীতে ত্বকে সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি হয়। ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। ঘর্মগ্রন্থি ও তেলগ্রন্থি ত্বকের জন্য উপযোগী প্রাকৃতিক তেল উৎপাদন করতে
পারে না।

আর্থ্রাইটিস বা বাতব্যথা

শীতে বয়স্কদের আর্থ্রাইটিস বা বাতব্যথা বেড়ে যায়। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, এনকাইলোজিং স্পন্ডিওলাইটিস, অস্টিও আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তদের সমস্যা হয় বেশি। পেশির পর্যাপ্ত মুভমেন্ট না থাকায় ও ভিটামিন ডির সংস্পর্শে না আসায় বাতব্যথা বেড়ে যায়।

অধ্যাপক ডা. এ কে এম মূসা, মেডিসিনবিশেষজ্ঞ, আলোক, হেলথকেয়ার, মিরপুর ১০, ঢাকা