গর্ভাবস্থায় একজন নারীর জীবনধারা বদলে যায়। কর্মস্থলেও নিজের শারীরিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে কাজের জন্য নিজেকে ‘ফিট’ রাখতে হয়। কারও কারও জন্য সেটা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। জেনে নেওয়া যাক, কর্মস্থলে অন্তঃসত্ত্বা নারী নিজেকে ভালো রাখতে কী কী করতে পারেন।
বমিভাব কমাতে
যা কিছু থেকে বমিভাব হতে পারে, তা এড়িয়ে চলুন। হয়তো ক্যানটিনের খাবারের ঘ্রাণটা সহ্য হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে ক্যানটিনে না গিয়ে ডেস্কে বসে খান। বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসুন।
হাতের নাগালে ক্রেকার্স বা টোস্ট বিস্কুটের মতো শুকনা খাবার রাখুন।
আদাকুচি বা আদা মেশানো পানীয় কাজে লাগাতে পারেন।
ক্লান্তি সামলাতে
গর্ভাবস্থায় শরীর সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু কর্মস্থলে তো চাইলেই আপনি বিশ্রাম নিতে পারবেন না, বরং ভিন্নভাবে ক্লান্তি সামলাতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি খান। হাতের কাছেই রাখুন পানির বোতল। একটু পরপর পানি খান।
আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খান। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আয়রন ট্যাবলেটও খেতে পারেন।
বসে কাজ করলে মাঝেমধ্যে উঠুন। খানিকটা হাঁটুন। কখনো একটু সময়ের জন্য চেয়ারে পিঠ এলিয়ে বসুন। সুযোগ পেলে অল্প সময়ের জন্য একটা খালি চেয়ারে পা উঠিয়ে রাখুন।
সম্ভব হলে কয়েক মিনিটের জন্য ঘরের আলো নিভিয়ে চোখ বুজে থাকুন।
কাজের পরেও অন্য কিছু করার থাকতে পারে। এখন থেকে এগুলো একটু কমিয়ে দিন।
রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান।
চিকিৎসকের পরামর্শ সাপেক্ষে বাড়িতে হালকা ব্যায়ামও করতে পারেন।
স্বস্তিতে থাকতে
এমন চেয়ারে বসুন, যাতে পিঠের নিচের অংশ ভালো ‘সাপোর্ট’ পায়। চেয়ারে আরামদায়কভাবে ব্যবহারের ব্যবস্থা না থাকলে কুশন ব্যবহার করুন।
পা রাখতে পারেন নিচু টুলে।
দাঁড়িয়ে কাজ করতে হলে ছোট টুলে এক পা রাখুন। খানিক পরে আবার অন্য পা টুলে রাখুন।
আরও যা করবেন
কাজের শুরুতেই রোজকার কাজের তালিকা ঠিক করে নিন। সারা দিনের কাজ সামলানো সহজ হবে।
অতিরিক্ত চাপ অনুভব করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বলুন। টুকটাক সমস্যার কথা কাছের বন্ধুর সঙ্গে ভাগ করে নিন।
ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থেকে দূরে থাকুন। সিগারেটের ধোঁয়াও কিন্তু মারাত্মক ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত শব্দ, অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত ঠান্ডায় কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
ভারী জিনিস তুলবেন না। কোনো কিছু বেয়ে উঠতে হলে সে কাজ এড়িয়ে চলুন।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক