টুথব্রাশ মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় সবচেয়ে জরুরি জিনিস। দোকানে নানা ধরনের টুথব্রাশ চোখে পড়ে। ম্যানুয়াল, ইলেকট্রিক ও ইন্টারডেন্টাল, এর মধ্যে আবার সফট, মিডিয়াম, হার্ড ও আলট্রাসফট রয়েছে। কীভাবে বুঝবেন আপনার জন্য কোনটি উপযোগী?
ব্রাশ নির্বাচন
আমাদের দেশে সফট ব্রিসলযুক্ত টুথব্রাশ আদর্শ। শক্ত ব্রাশের ঘর্ষণে দাঁতের প্রতিরক্ষা আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে শিরশির অনুভূতি হয়। নানা জটিলতা তৈরি হয়। মাড়িরও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। জোরে জোরে শক্ত টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ঘষলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হয় বেশি। সম্ভব হলে ভালো ব্র্যান্ড নিতে হবে।
ব্রাশ না করলে কী ক্ষতি
দিনে নিয়ম মেনে সকাল ও রাতের খাবার খাওয়ার পর ২ মিনিট ব্রাশ করা মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যথেষ্ট। ২৪ ঘণ্টায় একবারও ব্রাশ না করলে মুখের লালা, সুপ্ত অগণিত জীবাণু ও গৃহীত খাদ্যকণা মিলে ডেন্টাল প্ল্যাক নামক ক্ষতিকর সাদা পদার্থ হিসেবে দাঁতের পৃষ্ঠে এবং দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থলে জমতে শুরু করে।
ব্রাশের যত্ন
ব্রাশকে ঢেকে রাখা উত্তম, নয়তো এতে পোকামাকড়, তেলাপোকা বসে নোংরা করে। টয়লেট থেকে ব্রাশকে অন্তত ছয় ফুট দূরে রাখা উচিত। মাঝেমধ্যে গরম পানিতে ব্রাশ ভিজিয়ে রাখুন।
ব্রাশ করার পদ্ধতি
ব্রাশ যত ভালোই হোক, নিয়ম মেনে না করলে কখনোই যথাযথ উপকার আসবে না। বেশি কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে দাঁতের বাইরের পৃষ্ঠ দিয়ে শুরু করুন, পেছনের দাঁতে ব্রাশটি ৪৫ ডিগ্রি কোণে কাত করে দাঁত ও মাড়ির সংযোগে ধরে দুইটা দুইটা করে দাঁত নিয়ে আগে-পিছে ভাইব্রেশন করে ও পরে ঘড়ির কাঁটার মতো ঘোরান। সামনের ওপরের দাঁতগুলো ওপর থেকে নিচে ও নিচের দাঁতগুলো নিচ থেকে ওপরে ঘষুন। দাঁতের ভেতরের পৃষ্ঠ ও চিবানোর পৃষ্ঠগুলো পরিষ্কার করুন, শেষে জিব ব্রাশ করতে হবে।
ডা. মো. আসাফুজ্জোহা: রাজ ডেন্টাল সেন্টার, কলাবাগান, ঢাকা