হাঁচি, কাশি, ঠান্ডা, একজিমা, অ্যালার্জি ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেকেই নিয়মিত অ্যান্টি–অ্যালার্জি ওষুধ নিয়ে থাকেন। ওষুধ বন্ধ করলেই তাদের অ্যালার্জির প্রকোপ বেড়ে যায়। কিন্তু এই ওষুধ মাস বা বছরজুড়ে সেবন করলে কিছু অসুবিধা দেখা যায়:
ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস পায় বলে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি ওষুধ লাগে। ওষুধের প্রতি একধরনের আসক্তি তৈরি হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে বেড়ে যায় ওজন। অনেকের স্মৃতিভ্রংশও হয়।
অনেকে নাকে, চোখে বা গলায় দীর্ঘদিন অ্যান্টি–অ্যালার্জি ওষুধ ব্যবহার করছেন। ফলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। হতে পারে তীব্র মাথাব্যথা। অনেকের নিদ্রাহীনতা বাড়ে। মানসিক অস্থিরতায় ভোগার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া চোখের প্রেশার বেড়ে গ্লকোমা হওয়ার প্রবণতা অনেকখানি বাড়ে।
অ্যান্টি–অ্যালার্জি ওষুধ ত্বকে ব্যবহারের ফলে চামড়া পাতলা হয়ে যায়। অনেকের চামড়ার রং নষ্ট হয়ে যায়।
কোনো কোনো সময় অ্যান্টি–অ্যালার্জির ওষুধ হিসেবে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলে ফাঙ্গাল ইনফেকশন বৃদ্ধি পায়। অনেকের গ্যাসট্রিক প্রদাহ বেড়ে যায়। কারও কারও হাড়ের ক্ষয় বাড়ে। ওজন বৃদ্ধির নজিরও আছে। দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়।
অ্যান্টি–অ্যালার্জি ওষুধ দীর্ঘদিন সেবনের পর হঠাৎ করে বন্ধ করা যাবে?
হঠাৎ করে অ্যান্টি–অ্যালার্জি ওষুধ বন্ধ করলে শরীরে হিস্টামিন বেড়ে যায়। ফলে সর্দি, কাশি, চুলকানি বেড়ে যায়। তাই অ্যান্টি–অ্যালার্জি ওষুধ দীর্ঘদিন সেবনের পর হঠাৎ করে বন্ধ করা যাবে না।
অ্যান্টি–অ্যালার্জি ওষুধ দীর্ঘদিন সেবনের পর কেউ বন্ধ করতে চাইলে ধীরে ধীরে ডোজ কমাতে হবে।
এই ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করার ক্ষেত্রে করণীয়
৩ থেকে ৬ মাস পরপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ পরিবর্তন করে সেবন করুন।
লিভার, কিডনি ও হার্টের সমস্যায় ভোগা মানুষদের অ্যান্টি–অ্যালার্জি ওষুধ সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে হবে।