ড্রাগন ফল বিদেশি হলেও আমাদের দেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হচ্ছে। আর সেই কারণেই দেশের বাজারে এখন প্রচুর ড্রাগন ফল পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে দামি ফল হিসেবে খেতে চান, কিন্তু জানেন না এতে কী কী পুষ্টিগুণ আছে।
ড্রাগন ফলে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। ক্যালরি কম থাকায় এই ফল খেলে ওজন বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। এতে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, বিটা-ক্যারোটিন ও লাইকোপেনের মতো অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আছে। আরও আছে ফাইবার ও আয়রন, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
কীভাবে খাবেন
ড্রাগন ফল খোসা ফেলে জুস করে খেতে পারেন। চাইলে সালাদ হিসেবেও খেতে পারেন। আবার সাধারণ ফলের মতো কেটেও খেতে পারেন। তাপে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়, তাই রান্না করে না খাওয়াই ভালো।
১. ড্রাগন ফলে প্রচুর আঁশ থাকায় রক্তের চর্বি কমায়, হজমে সাহায্য করে, হৃৎপিণ্ডের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করার পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
২. লাইকোপেন থাকায় ক্যানসারপ্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে।
৩. ক্যারোটিন–সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
৪. ড্রাগনের মধ্যে থাকা প্রোটিন শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কাজে সহায়তা করে।
৫. প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় হাড় শক্ত ও দাঁত মজবুত রাখে। নারীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই ফল।
৬. ড্রাগন ফলে থাকা পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। ত্বকের সতেজ ভাব ফিরিয়ে আনে। বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও ভূমিকা রাখে।
৭. এ ছাড়া বেশি আয়রন থাকায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়; যা কিশোরী, অন্তঃসত্ত্বা, প্রসূতিদের জন্য প্রয়োজনীয়।
৮. এতে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার ও জলীয় অংশ থাকায় ওজন কমায়।
লেখক: কনসালট্যান্ট নিউট্রিশনিস্ট, ল্যাবএইড ও পার্কভিউ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেড, চট্টগ্রাম।