স্তন ক্যানসার সেরে যাওয়ার পরও যে ৩ কারণে ফিরে আসে

একবার সেরে ওঠার পরও আবার হতে পারে স্তন ক্যানসার (প্রতীকী ছবি)
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

নারীদের সবচেয়ে বেশি হওয়া ক্যানসারগুলোর একটি ব্রেস্ট ক্যানসার বা স্তন ক্যানসার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে স্তন ক্যানসারে মারা গেছেন ৬ লাখ ৭০ হাজার নারী। শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ শতাংশ পুরুষের ক্ষেত্রেও স্তন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

চিকিৎসা

স্তন ক্যানসারের স্টেজ ও ধরনের ওপর চিকিৎসা নির্ভর করে:


• সার্জারি: টিউমার অপসারণ।
• কেমোথেরাপি: ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করার জন্য ওষুধ।
• রেডিওথেরাপি: রেডিয়েশন ব্যবহার করে ক্যানসার কোষ ধ্বংস।
• হরমোনথেরাপি: হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ।

কেন ফিরে আসে?

অনেকেই মনে করেন, একবার স্তন ক্যানসার সেরে গেলে তা আর ফিরে আসবে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, একবার সেরে গেলেও আবার হতে পারে স্তন ক্যানসার। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর স্তন ক্যানসার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা নির্ভর করে।

১. ক্যানসারের ধরন ও স্টেজ এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা এবং সঠিক চিকিৎসা নেওয়া হলে পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা কম থাকে। তবে যদি ক্যানসারটি আক্রমণাত্মক হয় বা দেরিতে শনাক্ত হয়, তাহলে ফিরে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

২. চিকিৎসার ধরনও পুনরাবৃত্তির আশঙ্কাকে প্রভাবিত করে। সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, হরমোনথেরাপিসহ বিভিন্ন চিকিৎসাপদ্ধতি স্তন ক্যানসার নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ক্যানসার কোষ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস না হলে তা আবার ফিরে আসতে পারে। তাই নিয়মিত চেকআপের ভেতর থাকতে হয়।

৩. ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য, জীবনযাত্রার ধরনও পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়া নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ ও মেমোগ্রাফি করানোও গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যানসার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থাকলেও সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নারীদের উচিত নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা। প্রাথমিক লক্ষণগুলো উপেক্ষা না করা। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে এবং সঠিক চিকিৎসা নিলে স্তন ক্যানসার থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠা সম্ভব। আর পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

প্রতিরোধ

স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে—
• স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।
• নিয়মিত ব্যায়াম।
• ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা।
• নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ ও মেমোগ্রাফি করানো।


ডা. হিমেল বিশ্বাস, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, পান্থপথ, ঢাকা