ভারতীয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন গানে গানে বলেছেন, ‘৪০ পেরোলেই চালশে’।
সত্যিই তা–ই, বয়স ৪০ হয়ে গেলে কিংবা কারও কারও ৪০ হওয়ার আগেই চোখের সমস্যাটা শুরু হয়। কোনো কিছু পড়তে গেলে কিছুক্ষণ পর ঝাপসা হয়ে আসে। কম্পিউটারে কাজ করার কিছুক্ষণ পর চোখে অস্বস্তি শুরু হয়। পর্দায় লেখাগুলো দ্বিগুণ কিংবা কিছুটা অস্পষ্ট মনে হয়। মোবাইলের পর্দায় স্ক্রল করতে গেলে আগে যে দূরত্বে পরিষ্কার দেখতেন, এখন তার থেকে যন্ত্রটা দূরে নিলে ভালো দেখেন। পত্রিকার পাতায় চোখ বুলাতে বুলাতে কিছুক্ষণ পর ছোট ফন্টের লেখা ঝাপসা বা দ্বিগুণ লাগতে থাকে। আবার গাড়িতে বসে দূরের সাইনবোর্ড ঠিকই পড়তে পারেন।
যাঁদের সঙ্গে সমস্যাগুলো মিলে যাচ্ছে, তাঁদের আসলে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় হয় এটা। ছেলেদের ক্ষেত্রে ৪০ বছর বা এর পরে আর মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪০ বছরের আগে থেকেই চোখের একটা পরিবর্তন হতে থাকে। এই পরিবর্তনের কারণে দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখা গেলেও কাছের কাজ করতে গেলে চোখের লেন্সের অবস্থানের সমস্যার জন্য বেগ পেতে হয়। এটাকে বলে প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে।
প্রেসবায়োপিয়ার জন্য আপনাকে কাছের লেখা পড়ার জন্য প্লাস পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করতে হবে। একজন চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শে চোখের ‘টোটাল রিফ্রাকশন’ করে নতুন চশমা নিতে পারেন। যেটা আপনার বই-পত্রিকা পড়া, মোবাইল, ট্যাব কিংবা কম্পিউটার স্ক্রিনে কাজ করাসহ কাছের যেকোনো কাজ করার জন্য খুব উপকারে আসবে। সেই সঙ্গে চোখে অস্বস্তি, মাথাব্যথা কিংবা ঝাপসা দেখার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ডা. ফাহিম হায়দার খান: মেডিকেল অফিসার, বাংলাদেশ আই হসপিটাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউট