শুধু শরীরকে সুস্থ রাখতে নয়, বরং আমাদের মনকে সুস্থ রাখতেও খাবার বড় ভূমিকা পালন করে। শরীরের পাশাপাশি মনকেও চাঙা করে রাখবে এমন কয়েকটি খাবারের কথা জেনে নিন আজ।
স্যুপ থেকে সবজি, প্রতিটি খাবারেই দেওয়া যায় মাশরুম। ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ মাশরুম শুধু শরীরের নয়, মনের উপকারেও আসে। মাশরুমই একমাত্র অ-প্রাণীজ খাদ্য, যেখানে প্রচুর ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এ ছাড়া মাশরুমে রয়েছে সেরোটোনিন সিনথেসিস, যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়া বিষণ্নতা রোধে বড় ভূমিকা পালন করে মাশরুম।
চকলেট শরীরের জন্য ভালো না খারাপ, সে নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু চকলেট যে যে-কারও মন ভালো করে দিতে যথেষ্ট, সে নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। ডার্ক চকলেটে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা মন ভালো করতে বেশ উপকারী। এ ছাড়া চকলেটে থাকা প্রচুর পরিমাণ ট্রাইফোফান শরীরকে চনমনে রাখতে সাহায্য করে।
বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে। চিনাবাদাম থেকে কাঠবাদাম, সব ধরনের বাদামেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ট্রাইফোফান, যা মন ভালো করতে সাহায্য করে। খাবারের ফাঁকে কিংবা অবসর সময়ে বাদাম হতে পারে মন ভালো করার মতো উপযোগী খাবার।
ফাইবার, ভিটামিন ই ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর পালংশাক স্বাস্থ্যকর হরমোন উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখে।
রাস্তাঘাটে চলতে-ফিরতে আমাদের সবচেয়ে পরিচিত ফল হলো কলা। বি৬ ভিটামিনে ভরপুর কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ডোপামিন। কলা খেয়ে সকালটা শুরু করলে দিনের বাকিটা সময় মন ও শরীর থাকবে চাঙা
ডালকে বলা হয় আমিষের পাওয়ারহাউস। ফোলেট ও ভিটামিন বি-এ ভরপুর ডালে রয়েছে সিনথেসাইজ ডোপামিন ও সেরোটোনিনের উপাদান, যা মন ভালো করতে বেশ সাহায্য করে।
সকালের নাশতা হিসেবে অনেকেরই পছন্দ ওটস। কার্বোহাইড্রেটযুক্ত ওটসে শুধু রক্তচাপ সামাল দেয় না, বরং সারা দিনের শক্তি বর্ধনে বড় ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া ওটসে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, যা মনকে উৎফুল্ল রাখতে সহায়তা করে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া