অনেকেরই ধারণা, দামি ও বিদেশি ফলের পুষ্টিগুণ বেশি। তাই রোগবালাই হলে আঙুর, আপেল, মাল্টার মতো বিদেশি ফল কেনা হয়। এমন ধারণা অমূলক। কিছু দেশি ফল রয়েছে, যেগুলোর পুষ্টিগুণ তুলনামূলক বেশি। দামও অনেক কম। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও দেশি ফলের জুড়ি নেই। বিশেষত শিশুদের দেশি ফল খেতে উৎসাহিত করতে হবে। এখন জেনে নেওয়া দরকার দেশি কোন ফলের কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে—
আমড়া: আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ক্যারোটিন, পেকটিন ও ফাইবার রয়েছে। তিনটি আপেলের চেয়ে একটি আমড়ার পুষ্টিগুণ বেশি। আমড়া রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, রক্তস্বল্পতা দূর করে, বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। আমড়ায় থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ত্বক, চুল ও নখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
আমলকী: আমলকীতে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে, মৌসুমি সর্দি-কাশি কমাতে, মুখের রুচি বাড়াতে, ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে, রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এ ফল।
বাতাবিলেবু: বাতাবিলেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যারোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও সোডিয়াম। বাতাবিলেবু খেলে পেশির দুর্বলতা, ব্যথা দূর হয়। ওজন ও অ্যাসিডিটি কমায়। ক্যানসার প্রতিরোধে এ ফল বেশ সহায়ক।
পেয়ারা: একটি পেয়ারায় চারটি কমলালেবুর চেয়েও বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে। এতে প্রচুর ভিটামিন এ, বি, সি ও কে এবং ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার রয়েছে। এতে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য ভালো। পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই উপকারী।
লটকন: লটকন হাড়, দাঁত মজবুত রাখে। ক্যালরি কম থাকায় ওজন কমাতে সহায়ক। চোখের জন্যও উপকারী।
কামরাঙা: কামরাঙায় ভিটামিন এ–সহ নানা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে কামরাঙা সাহায্য করে। ভিটামিন সি বেশি থাকায় কামরাঙা খেলে স্কার্ভি রোগ দূর হয়।
জামরুল: জামরুল যকৃতের কোষ ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করে। সুগার ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
গাব: প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে গাবে। যাঁরা ওজনহীনতা ও নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য গাব খুবই উপকারী। এ ফল দুর্বলতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।