ভালো থাকুন

স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে কী খাবেন

ফাইল ছবি

ব্রেস্ট বা স্তন ক্যানসারে নারীদের মধ্যে মৃত্যুর অন্যতম কারণ। নারীদের উচিত এমন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হওয়া, যা এ ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। গবেষকেরা বলেন, এ ক্যানসারের অনেকটাই আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের সঙ্গে যুক্ত।

ক্যানসার প্রতিরোধক খাদ্য

মিষ্টি আলু: এটি বিটা ক্যারোটিনসমৃদ্ধ। বিটা ক্যারোটিন কোলন, স্তন, পেট ও ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

সাওয়ারসপ: একে বলা হয় ক্যানসার প্রতিরোধের প্রাকৃতিক ফল। এই ফলের গাছের নাম গ্র্যাভিওলা। এর ফল ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন সাওয়ারসপ, করোসল গুয়ানাবা, গুয়ানাভানা।

সবুজ শাক: পালং, কেইল, কলার্ড গ্রিন, রোমেইন, আরুগুলা, লেটুস, হেলেঞ্চাসহ দেশীয় সবুজ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও এনজাইম। এ ছাড়া আছে গ্লুকোসাইনোলেটস, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান এবং কার্সিনোজেন নিষ্ক্রিয়কারী উপাদান।

ক্যাবেজ: এ পরিবারভুক্ত সবজি, যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, ওলকপি, শালগম, ব্রাসেলস স্প্রাউটে রয়েছে আইসোথায়োসায়ানেটস নামক ফাইটোকেমিক্যাল, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম। ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে অন্যান্য যেসব সবজি ভূমিকা রাখে সেগুলো হলো পেঁয়াজ, জুকিনি, অ্যাস্পারাগাস, আর্টিচোকস, মরিচ, গাজর ও বিট।

বেরি: ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, গোজিবেরি, রাস্পবেরি, চেরি, মালবেরি, কামুসহ বেরি-জাতীয় ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এসব ফল ক্যানসার রোধের পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

উজ্জ্বল বর্ণের ফল: কমলা, লেবু, জাম্বুরা, পেঁপেসহ উজ্জ্বল বর্ণের সব ফল ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, যা রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিটক্সিফিকেশন ও ক্যানসার রোধ করে।

হলুদ: এতে বিদ্যমান কারকিউমিন প্রদাহজনিত সমস্যারোধী ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানবদেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যানসার প্রতিরোধী করে তোলে।

অর্গানিক মাংস: স্টেরয়েড, হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ ছাড়া পালিত মুরগির কলিজা ও তৃণভোজী গরুর মাংস ক্যানসার রোগীর খাদ্যতালিকায় থাকা বাঞ্ছনীয়। এতে ভিটামিন বি১২ আছে উচ্চমাত্রায়।

টক দই: এটি হলো প্রোবায়োটিকস। প্রোবায়োটিকস টিউমার বৃদ্ধি রোধ করে। দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি আছে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিটিউমার ও অ্যান্টিক্যানসার বৈশিষ্ট্যের। কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ফলদায়ক ভূমিকা রাখে।

গ্রিন টি: এই চায়ে আছে পলিফেনোলিক কম্পাউন্ড, গ্যালোক্যাটেচিন ও ইজিসিজি (অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট); যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়, টিউমার বৃদ্ধি রোধ করে মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।