একসময় জ্বর বা সংক্রমণ হলে রোগীদের বার্লি, সাগু ইত্যাদি খাওয়ানোর চল বেশি ছিল। আবার অসুস্থ হলে কবুতর বা বাচ্চা মুরগির ঝোল বা স্যুপ করে খাওয়ানোর নিয়ম। কিন্তু আসলেই কি সাধারণ মুরগির তুলনায় বাচ্চা মুরগিতে পুষ্টি বা আমিষ বেশি?
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ল্যাবএইড ওয়েলনেস সেন্টারের ক্লিনিক্যাল জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ ফাহমিদা হাশেম বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমিষের পরিমাণ বা অনুপাত নয়, সামগ্রিক সার্ভিংয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়। মুরগি ছোট বা বাচ্চা হলেই যে বেশি পুষ্টিকর হবে, এমন কোনো কথা নেই। তবে রোগীকে সাধারণত গোটা বাচ্চা মুরগি খাওয়ানো হয় বলে পুষ্টির পরিমাণ বেশি মেলে। দুই এক পিস খেলে তা হবে না। আরেকটি ব্যাপার হলো, বাচ্চা মুরগি বা কবুতরের মাংস পোলট্রি বা ফার্মের মুরগির তুলনায় বেশি অর্গানিক বা প্রাকৃতিক উপাদান বেশি। কারণ, এই মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক, হরমোন বা কৃত্রিম খাদ্যের পরিমাণ কম। আবার অসুস্থতার সময় রুচি কমে যায় বলে বড় মুরগি বা ফার্মের মুরগিতে স্বাদ পাওয়া যায় না। সব মিলিয়ে এই ট্রাডিশন তৈরি হয়েছে। তবে প্রোটিনের উৎস হিসেবে যেকোনো ধরনের মুরগি, ডিম, দুধ, মাছ, মাংস খেলে একই ধরনের উপকার মেলে।’