বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী, দিনে তিন বা তার চেয়ে বেশিবার পাতলা বা তরল পায়খানা হলে তাকে ডায়রিয়া বলে। প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু ডায়রিয়াজনিত সমস্যায় মারা যায়। সাধারণত গ্রীষ্মকাল, অর্থাৎ মার্চ মাস থেকে ডায়রিয়া বেশি দেখা যায়। তাই এ সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা এই সময় ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া খাবার বা পানির সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে পাতলা পায়খানার লক্ষণ প্রকাশ করে।
বাইরের অস্বাস্থ্যকর পানি, খাবার থেকে মূলত ডায়রিয়াজনিত জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। এ ছাড়া খাবার দুই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি ফ্রিজের বাইরে রাখলে, খাওয়ার আগে বা মলমূত্র ত্যাগের পর হাত সাবান দিয়ে ভালো করে না ধুলে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্যালাইন পানি ও জিংক ট্যাবলেট ডায়রিয়া চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট। তবে তিন দিনের বেশি ডায়রিয়া থাকলে, পাতলা পায়খানার সঙ্গে রক্ত দেখা দিলে, শরীরের তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে, পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গরমে ডায়রিয়া থেকে বেঁচে থাকার উপায়
পানি ফুটিয়ে খেতে হবে।
বাইরের অস্বাস্থ্যকর পানি, খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
খাওয়ার আগে বা মলমূত্র ত্যাগের পর হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুতে হবে।
খাবার তৈরির সময় হাত, খাবারের পাত্র ও খাবার তৈরির স্থান পরিষ্কার করতে হবে।
কাঁচা মাছ, মাংস, সামুদ্রিক খাবার, ডিম থেকে রান্না করা খাবার আলাদা করে রাখতে হবে।
রান্না করা উচ্ছিষ্ট খাবার এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে রেফ্রিজারেটরে রেখে দিতে হবে।
জন্মের পরপর ছয় সপ্তাহের মধ্যে রোটা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দিয়ে দিতে হবে।
ডা. মুসআব খলিল: পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকা