যে দুঃখবোধগুলো বিষণ্নতার লক্ষণ

আপনার মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণগুলো রয়েছে কি না, খেয়াল করুন। বিষণ্নতায় আক্রান্ত সবার মধ্যেই যে একই রকম সব লক্ষণ দেখা যাবে, তা নয়। কারও লক্ষণ একটু বেশি তীব্র, কারও ক্ষেত্রে লক্ষণ হয় মৃদু।

মনমেজাজ ভালো না থাকা, অবসাদগ্রস্ত হওয়া, মন খারাপ লাগা—এসব হতে পারে বিষন্নতার কারণে
ছবি: প্রথম আলো

দুঃখবোধ মানুষের স্বাভাবিক অনুভূতি। দুঃখ পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে দুঃখ তো হবেই। কারও কাছে সাময়িকভাবে এমনও মনে হতে পারে যে তার জীবনেই বুঝি দুঃখজনক ঘটনা বেশি ঘটছে। দুঃখ, কষ্ট, মন খারাপ কিংবা কিছুই ভালো না লাগার অজস্র মুহূর্ত আমাদের পার হতে হয় জীবনে। অন্যদিকে বিষণ্নতা কিন্তু একটি মানসিক সমস্যা। বিষণ্নতায় আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন ও কর্মজীবন স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলতে পারে। বিষণ্নতার জটিলতায় কারও কারও মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও দেখা দেয়। তাই বিষণ্নতায় ভুগলে চিকিৎসা নেওয়া আবশ্যক। দুঃখবোধ আর বিষণ্নতা তাই এক নয়।

আপনার মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণগুলো রয়েছে কি না, খেয়াল করুন। বিষণ্নতায় আক্রান্ত সবার মধ্যেই যে একই রকম সব লক্ষণ দেখা যাবে, তা নয়। কারও লক্ষণ একটু বেশি তীব্র, কারও ক্ষেত্রে লক্ষণ হয় মৃদু। তবে যদি এসব লক্ষণের কোনো কোনোটি আপনার মধ্যে থাকে, তাহলে অবশ্যই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন—

জীবনে খুব বড় কোনো অস্বাভাবিকতা নেমে না আসা সত্ত্বেও সব সময়ই হতাশা বোধ করা; বিনা কারণে ভেতরটা ফাঁকা ফাঁকা লাগা, সামান্য কারণেই কেঁদে ফেলা।

নিজেকে অযোগ্য মনে করা, অতীতের নানা তুচ্ছ ঘটনার জন্য নিজেকে দোষী মনে করা।

একঘেয়ে জীবন নিয়ে মন খারাপ না করে নিজের অর্জনগুলো ভাবলে মন ভালো হবে।

নিজের প্রতি যত্নশীল না হওয়া। নিজের পোশাকপরিচ্ছদ, এমনকি ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকেও খেয়াল না থাকা।

পৃথিবীকে ভীষণ খারাপ জায়গা মনে করা। যেকোনো প্রকারে পৃথিবী থেকে চলে গেলেই ভালো হয়, এমনটা মনে হওয়া।

যে কাজ করতে একসময় খুব ভালো লাগত, তাতে আর আগ্রহ না পাওয়া।

ছোটখাটো ঘটনায় ভীষণ রেগে যাওয়া, অতিরিক্ত চিৎকার-চেঁচামেচি করা।

চিন্তার স্বচ্ছতা হারিয়ে যাওয়া।

প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোও মনে রাখতে না পারা।

আলাপ-আলোচনা কিংবা কাজের ভেতর মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা।

ঘুমের সমস্যা হলে সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন।

ঘুমের সমস্যায় ভোগা। কারও কারও সহজে ঘুম আসে না, কারও আবার হুটহাট ঘুম ভেঙে যায়, কেউ আবার অতিরিক্ত ঘুমান। বিছানা ছেড়ে উঠতেই ভালো লাগে না, এমনটাও দেখা যায়।

সব সময় ক্লান্তি বোধ করা। জীবনের স্বাভাবিক গতি হারিয়ে যাওয়া। কাজকর্মে, কথাবার্তায় ধীর হয়ে পড়া।

খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ জন্মানো। খাবারের অভ্যাসের সঙ্গে ওজনটাও কমে কিংবা বাড়ে।

কারণ ছাড়াই শরীরের নানা অংশে ব্যথা বোধ করা।