প্রচণ্ড গরমে মাত্রাতিরিক্ত ঘাম বের হওয়ায় পানিশূন্যতার ঝুঁকিতে পড়ে শরীর। এ অবস্থায় নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া গরমে শরীরকে স্বস্তি দিতে কিছু আরামদায়ক খাবার খেতে হবে। কিছু খাবার আছে, যা শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
এ সময় অতিরিক্ত মসলাদার খাবার বাদ দিয়ে খেতে হবে বেশি পানি রয়েছে এমন সব খাবার। তবে কৃত্রিম রং ও স্বাদযুক্ত কোনো জুস বা পানীয় খাবেন না। তাতে সাময়িক তৃষ্ণা মিটলেও ডেকে আনবে নানা ক্ষতি।
পুদিনাপাতা: পুদিনাপাতা শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। জিরাপানি, বোরহানি, পুদিনার চাটনি, পুদিনার শরবত ইত্যাদি খেতে পারেন। সালাদের সঙ্গেও রাখতে পারেন। পুদিনাপাতা গুঁড়া করে ঠান্ডা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। যাঁরা চা খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা পুদিনার চা খেতে পারেন।
শসা: পানি ও ফাইবার (আঁশ) থাকার কারণে গরমকে হারাতে সহায়ক শসা। এটি খেলে শরীর ঠান্ডা তো হয়ই, সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হয়।
লাউ: গ্রীষ্মকালে লাউ সহজলভ্য। এটি ওজন কমায় ও হজমে সহায়তা করে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত লাউ তরকারি খেতে পারেন। লাউ সেদ্ধ করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। রায়তার মতো খেতে পারেন। এ ছাড়া খেতে পারেন লাউয়ের স্যুপ।
ঢ্যাঁড়স: গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স সবারই প্রিয়। ভর্তা, ভাজি কিংবা তরকারি—সবভাবে খাওয়া যায়। ঢ্যাঁড়স ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এ সবজি উপকারী। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ঢ্যাঁড়স রাখুন। ঢাকনা খোলা রেখেই রান্না করুন। ঢ্যাঁড়সের রং ঠিক থাকবে।
দই: গরমকালে খুবই উপকারী খাবার হচ্ছে টক দই। কারণ, এতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরকে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ডাবের পানি: ডাবের পানিতে রয়েছে প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটস। সেই সঙ্গে এনার্জি বাড়াতেও সহায়তা করে এটি। তাই গরমে স্বস্তি পেতে নিয়মিত ডাবের পানি পান করুন।
তোকমা দানা: এটি প্রাকৃতিকভাবেই গরম দূর করে। দেহের তাপমাত্রা সঠিক পর্যায়ে ধরে রাখে। তীব্র গরমেও তাপমাত্রা অসহনীয় হবে না। দুধের সঙ্গে মিলিয়ে তোকমা দানা খাওয়া যায়। এ ছাড়া লেবুর রসের সঙ্গে পিংক সল্ট মিশিয়ে শরবত করে খাওয়া যায়।
তরমুজ: তরমুজের ৯২ শতাংশই পানি। তা ছাড়া এই ফলে ক্যালরিও খুব কম। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা খাবার তালিকায় তরমুজ রাখতে পারেন। তরমুজ উচ্চ লাইকোপেনসমৃদ্ধ; যা ক্যানসারের কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে। এর আঁশ হজমে সহায়তা করে এবং ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে সহায়তা করে।
টমেটো: টমেটো জলীয় অংশবিশেষ ফল। টমেটো দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, দুশ্চিন্তা কমায়, ক্যানসারের ঝুঁকি ও উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
আগামীকাল পড়ুন: মস্তিষ্কের ভেতর পানি জমে যে রোগে