পরামর্শ দিয়েছেন ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের অবস, গাইনি, ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন ডা. সেরাজুম মুনিরা
প্রশ্ন: আমি একজন নারী, বয়স ৪১ বছর। আমার একটা মেয়ে আছে। আমরা আরেকটা সন্তান নিতে চাই। এক বছর হলো চেষ্টা করছি। শুনেছি ৩০ বছরের পর নারীদের সন্তানধারণে সমস্যা হয়। আমার কি সন্তান হবে? কোনো ধরনের পরীক্ষা করার দরকার আছে কি?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
পরামর্শ: সাধারণত নারীরা জন্মের সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ ডিম্বাণু নিয়েই জন্মগ্রহণ করেন। বয়স বাড়লে এই সংখ্যা কমতে শুরু করে। ৩৫ বছরের পর থেকে ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণুর পরিমাণ কমতে থাকে। আর বয়স ৪০ বছরের কাছাকাছি এলে ডিম্বাণুর সংখ্যা অনেক হ্রাস পায়, এর গুণগতমানও খারাপ হয়ে যায়। ফলে ৪০ বছর বয়সে মা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে চেষ্টার চেয়ে কার্যকর বিকল্প হতে পারে আইভিএফ পদ্ধতি। তাই আপনি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ নিতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষার মাধ্যমে ডিম্বাণু বা জিনের পরিমাণ জানা যায়। এটি নির্ণয়ে অ্যান্টিমুলেরিয়ান হরমোন টেস্ট, লুটিনাইজিং হরমোন ও ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন টেস্টের প্রয়োজন হতে পারে। শরীরে অ্যান্টিমুলেরিয়ান হরমোনের মাত্রা অনেক নিচে নেমে গেলে, ওষুধের মাধ্যমে ডিম্বাণু বড় করার চেষ্টা করা ঠিক নয়। এতে ডিম্বাণুর পরিমাণ শূন্যের কোঠায়ও নেমে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনি আইভিএফ বা ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন। তা ছাড়া অনেক সময় পুরুষের বন্ধ্যত্বের কারণেও গর্ভধারণ ব্যর্থ হতে পারে। তাই প্রথমত, স্বাভাবিকভাবে তিন মাস চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তারপরও গর্ভধারণ সম্ভব না হলে, কোনো ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করুন। আশা করি, এতে উপকার পাবেন।