স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে চিয়া সিড এখন বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু দাম কিছুটা বাড়তি বলে অনেকেই চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হন। প্রায় চিয়া সিডের মতো দেখতে আরেকটি বীজ হলো তোকমা। এর দামও চিয়া সিডের চেয়ে কিছুটা কম। তবে দুটি বীজের পুষ্টিগুণ প্রায় কাছাকাছি। চিয়া সিড গোলাকার আর তোকমা কিছুটা লম্বাটে দানার। ওজন নিয়ন্ত্রণে অনেকেই এখন চিয়া সিড খাচ্ছেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিয়া সিডের চেয়ে তোকমাদানা বেশি কাজে দেয়।
বিশেষ করে অনেকেই আছেন, যাঁদের চিয়া সিড খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়, তাঁদের জন্য তোকমা উপকারী। চিয়া সিডের চেয়ে তোকমা দ্রুত হজম হয়। তোকমায় আছে ফাইবার বা আঁশ। ১ টেবিল চামচ তোকমায় আঁশ পাবেন ৭ গ্রাম। চিয়া সিডের তুলনায় তোকমায় প্রোটিনও বেশি।
১. দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখে,শরীর ঠান্ডা রাখে।
২. পাকস্থলী ও অন্ত্রের সমস্যা দ্রুত ঠিক করে।
৩. অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পথ্য হিসেবে খাওয়া যায়।
৪. খনিজ, ভিটামিন ও আঁশের ভালো উৎস হওয়ায় রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
৫. দেহে ডিটক্সিফিকেশনের কাজ করে।
৬. ওজন কমে, পেট পরিষ্কার রাখে।
৭. তোকমায় প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে। নানা ধরনের ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা দেয়।
৮. তোকমা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং ডায়াবেটিস ও স্থূলতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৯. তোকমার আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে।
চিয়া সিডের মতোই তোকমাদানা আগে থেকে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। তোকমা ফুলতে কয়েক মিনিট লাগে, অর্থাৎ ভিজিয়ে রাখার প্রায় কিছুক্ষণের মধ্যেই খাওয়া যায়।
চিয়া ও তোকমা—দুটিই পুষ্টিগুণে ভরপুর বলে ‘পাওয়ার হাউস’ নামে পরিচিত। ফলে দুটিই উপকারী। তবে পানি দ্রুত শোষণ করে সময় বাঁচায়, এমন খাদ্য উপকরণ চাইলে তোকমাই এগিয়ে থাকবে।
আবার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে চাইলে দুটি বীজই বেছে নিতে পারেন। খাবারে আলাদা করে দুটিই মিশিয়ে খাওয়া যায়।
সাজিয়া মাহমুদ, পুষ্টিবিদ