চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেটদল দর্শকের স্নায়ুচাপের পরীক্ষাও নিচ্ছে! এক আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বাদে সব ম্যাচেই ভরাডুবি। ফলে অবধারিতভাবে প্রতিটি ম্যাচের সময় ও পরে ভীষণ মানসিক যাতনার মধ্য দিয়ে গেছেন সবাই। আগামীকাল বাংলাদেশ খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি, সাকিববাহিনি ভালো করবে। তারপরও সাবধানে মার নেই। মানসিক চাপে পড়লে কী করবেন? দিন শেষে জীবনের রুটিন তো মেনে চলতেই হয়। মুষড়ে পড়ে থাকলে আমাদের চলে না। তাই জেনে রাখুন মন চাঙ্গা রাখার কিছু উপায়...
কুমড়ার বিচিতে আছে ম্যাগনেশিয়াম এবং জিংক। মানুষের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় জিংক। আর মানুষকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম। অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডারের মতো মানসিক রোগের চিকিত্সায় ম্যাগনেশিয়াম ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া শারীরিক শক্তি এবং সহ্য ক্ষমতা বাড়াতে ম্যাগনেশিয়ামের আশ্রয় নেন অ্যাথলেটরা।
ডিমের মধ্যে আছে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন এবং ভিটামিন বি। শর্করাজাতীয় কিছু খাবার রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু প্রোটিন তা করে না। সকালের নাশতা হিসেবে আদর্শ হতে পারে ডিম। চাপমুক্ত থাকতে বেশি বেশি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।
সারডিন ও টুনার মতো সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। চাপমুক্ত থাকতে চাইলে এসব সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। এ ছাড়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উত্স স্যামনজাতীয় মাছ। শরীরে প্রদাহের কারণে কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোন বেড়ে যেতে পারে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। এভাবে চাপ কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এ ছাড়া গবেষকেরা দাবি করেছেন, স্যামনজাতীয় মাছ খেলে মন চাঙ্গা থাকে।
তেল ও আঁশ উত্পাদনকারী গুল্ম তিসি। তিসির দানাও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম উত্স। চাপমুক্ত থাকতে চাইলে তিসির দানা খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া যথেষ্ট পুষ্টিকর খাবার হিসেবেও তিসির দানা পরিচিত।
সবুজ শাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে এবং পটাশিয়ামসহ আরও অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান থাকে, যা চাপমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
চকলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে চকলেট। মন ফুরফুরে রাখতে চকলেটের কোনো তুলনা হয় না। চিন্তাশক্তিও বাড়িয়ে দিতে বেশ কার্যকর।