‘অস্টিওআর্থ্রাইটিস চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি’ প্রতিপাদ্যে সারা বিশ্বের মতো আজ ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস। বিশ্বের ১২১টি দেশে একযোগে এ দিবস পালন করা হচ্ছে।
অস্টিওআর্থ্রাইটিস হলো অস্থিসন্ধির একটি রোগ। হাঁটু, হিপ জয়েন্ট, হাতসহ যেকোনো চলনযোগ্য সন্ধিকে (জয়েন্ট) এটি আক্রান্ত করতে পারে। এটি ডিজেনারেটিভ জয়েন্ট ডিজিজ নামেও পরিচিত। এই রোগ বয়োজ্যেষ্ঠদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
অস্টিওআর্থ্রাইটিস দুই রকমের হতে পারে—প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি।
প্রাইমারি অস্টিওআর্থ্রাইটিস হলো কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই আর্টিকুলার কার্টিলেজ ক্ষয়ে যাওয়া। সেকেন্ডারি অস্টিওআর্থ্রাইটিস হলো আঘাত পাওয়ার কারণে সন্ধিস্থলজুড়ে বলের ঘনত্ব অস্বাভাবিক হয় বা রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের (আরএ) মতো অস্বাভাবিক আর্টিকুলার কার্টিলেজ থাকে।
অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মূল কারণ বয়োবৃদ্ধি। এ ছাড়া অতিরিক্ত ওজন, বংশগত ও আঘাতের কারণও উল্লেখযোগ্য।
বয়স ৪৫ বা তার বেশি। সন্ধিতে ব্যথা। সকালে হাঁটাচলায় সমস্যা, ব্যথা বা জড়তা থাকে, যা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। রোগ শনাক্ত করতে এক্স-রের সাহায্য নেওয়া যায়।
অস্টিওআর্থ্রাইটিসের রোগীর চলাফেরা বা নড়াচড়া ক্রমে কঠিন হয়ে ওঠে। কিন্তু যতটা সম্ভব সক্রিয় থাকলে ব্যথার উন্নতি হয়। অন্যান্য উপসর্গ কমাতে পারে ও ব্যক্তিকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
যে ধরনের থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ (ব্যায়াম) প্রয়োজন—
মাংসপেশির শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম।
সন্ধির স্বাভাবিক নড়াচড়া করা।
অ্যারোবিক ব্যায়াম।
স্ট্রেচিং ব্যায়াম।
জয়েন্ট মোবিলাইজেশন।
নেছার উদ্দিন সাকের, বিভাগীয় প্রধান, ফিজিওথেরাপি, কেসি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, উত্তরা