অনেকে সস ছাড়া মুখরোচক খাবার মুখেই তুলতে চান না। বাজারে বিভিন্ন ধরনের সস পাওয়া যায়। কিন্তু কোন সসে কী ধরনের খাদ্য উপাদান রয়েছে, তা কি আমরা জানি? আর এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী বা ক্ষতিকর? এখানে লাল সস, সাদা সস, সয়া সস সম্পর্কে জেনে নিন।
টমেটো, ভিনেগার, লবণ, গোলমরিচ লাল সস তৈরির প্রধান উপাদান।
এক চামচ লাল সসে রয়েছে ১৬০ ক্যালরি, ৪ গ্রাম চর্বি, ১৯০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম ও ৪ গ্রাম চিনি।
এটি নিম্ন ক্যালরি–সমৃদ্ধ খাবার।
প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোষের ক্ষয় রোধ করে।
ভিটামিন এ বেশি থাকায় এই সস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকায় দাঁত, মাড়ি মজবুত ও ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এটি হাড় মজবুত করে।
সাদা সস মূলত ময়দা, দুধ, পনির, মাখন দিয়ে তৈরি হয়।
এক চামচ সাদা সসে ২৬২ ক্যালরি, ৭ গ্রাম চর্বি বিদ্যমান।
এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন রয়েছে।
উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন খাবার।
হাড় ও দাঁত মজবুত করতে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
সয়া সসে ৪০ শতাংশ সোডিয়াম রয়েছে, যা মানুষের দৈনিক খাদ্যচাহিদার ৩৮ শতাংশ পূরণ করে।
এক চামচ সয়া সসে ৮ দশমিক ৫ ক্যালরি, ১ দশমিক ৩ গ্রাম প্রোটিন, ৮৭৮ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে।
সয়া সসে প্রচুর লবণ থাকায় যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ঋতুস্রাব বন্ধের জন্য মেয়েদের যেসব সমস্যা (যেমন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া) হয়, এটি তা হ্রাস করে।
এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে।
প্রায় সব ধরনের সস সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
প্রচুর পরিমাণ শর্করা থাকায় ওজন বৃদ্ধি করে, রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়।
অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের জন্য কিডনিতে পাথর হতে পারে।
খনিজ লবণ বেশি থাকায় যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাঁরা সস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
লাল সসে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি খাওয়ার ফলে বুক জ্বালাপোড়া করে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।