ডেঙ্গু জ্বরের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। জটিলতা এড়াতে রোগীদের পুষ্টিকর খাবার ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কী ধরনের খাবার ডেঙ্গু রোগীর পথ্য হওয়া উচিত—
ডেঙ্গু রোগীদের সাধারণত জ্বর, পেটফাঁপা, বদহজমজনিত সমস্যা থাকতে পারে। এ জন্য সহজে হজম হয়, এমন নরম ও আধা তরল খাবার খেতে দিতে হবে। যেমন জাউভাত, নরম খিচুড়ি, পুডিং, কলা, পাকা পেঁপে, আপেল ইত্যাদি।
ডেঙ্গু রোগীদের পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া ইলেকট্রোলাইট বা খনিজ লবণের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। এ জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, পেয়ারার শরবত, বেলের শরবত, গাজরের শরবত, দই ইত্যাদি খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ওরাল ডিহাইড্রেশন স্যালাইন খেতে হবে।
অরুচি, তেতো ভাব ও অবসাদ দূর করতে ভিটামিন সিযুক্ত খাবার সহায়তা করে। এ ছাড়া ভিটামিন সি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। শরীরে আয়রন শোষণ বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সি। এ জন্য ডেঙ্গু রোগীকে আমলকী, আমড়া, কমলা, আনারস, জাম্বুরা ইত্যাদি খেতে হবে।
ডেঙ্গু রোগীদের প্লাটিলেট কমে যায়। এ জন্য কিছু খাবার উপকারী। যেমন পালংশাক, ছোলা, মসুর ডাল, ডালিম, কচুশাক, মিষ্টিকুমড়া, কালো আঙুর, তিসির তেল, কলমি শাক ইত্যাদি।
ডেঙ্গু রোগীদের গুরুতর অবস্থায় রক্তক্ষরণের ঝুঁকি থাকে। এ জন্য ভিটামিন কে–জাতীয় সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। যেমন বাঁধাকপি, ব্রকলি, পালংশাক, শসা ইত্যাদি।
রুচি থাকে না বলে ডেঙ্গু রোগীরা অনেক সময় অনেক খাবার খেতে পারে না। তাই এ সময় সবজির স্যুপ, চিকেন স্যুপ, ডালের স্যুপ ইত্যাদি খেলে শক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রচণ্ড জ্বরে মুখের স্বাদ ও গন্ধের পরিবর্তন দেখা দেয়। তাই যেকোনো ভেষজ চা পান করতে পারেন। যেমন পুদিনা চা, এলাচি চা, তুলসী চা, আদা চা ইত্যাদি।
ডেঙ্গু রোগীর দুর্বলতা থাকে। তাই অল্প খেলেও তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায় এমন খাবার খেতে হবে। যেমন দুধ, আলুর তরকারি, ভাত, কিশমিশ, খেজুর ইত্যাদি।
আমিষজাতীয় খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দ্রুত উন্নত করে। তবে ডেঙ্গু রোগীদের পরিপাকতন্ত্র অনেক সময় ধীরগতির হয়ে যায়। তাই প্রথম অবস্থায় এসব খাবার নরম বা স্যুপ করে দেওয়া ভালো।
আগামীকাল পড়ুন: শিশুদের ব্রেন টিউমার