শিশুকে ইনহেলার ব্যবহার করানোর নিয়ম কী

শীতকালে ছোট–বড় সবাই কমবেশি ঠান্ডা–কাশিতে ভোগেন। যাঁদের আগে থেকে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি আছে, তাঁদের কষ্টটা অনেক বেশি। ভোরের আলো ফোটার আগেই শুরু হয়ে যায় হাঁচি–কাশি এবং এরপরই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। ছোট শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি—এ দুই শ্রেণির মানুষের ভোগান্তিই সবচেয়ে বেশি।

শিশুর শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার ব্যবহার করেন অনেকেই
ছবি: প্রথম আলো

শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনহেলার বা নেবুলাইজেশন সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি। নেবুলাইজেশন তুলনামূলক ব্যয়বহুল আর পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয় দক্ষতা। তাই বাসার চিকিৎসার জন্য ইনহেলারই উত্তম। তবে শিশুদের ইনহেলার দেওয়াও বেশ কঠিন কাজ। অনেক সময়ই বাচ্চারা এটা সহজে নিতে চায় না। কেউ কেউ ভয় পায়। শিশুদের ইনহেলার ব্যবহারের জন্যে ‘স্পেসার উইথ মাস্ক’ যন্ত্রটির সাহায্য নিতে হয়। না হলে ইনহেলারের ওষুধ শ্বাসনালিতে কার্যকরভাবে পৌঁছায় না।

সঠিকভাবে ইনহেলার নিতে প্রথমে ইনহেলারটি ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। তারপর ইনহেলারটিকে স্পেসারের ছাঁচের সঙ্গে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর বেবিমাস্কটি বাচ্চার মুখে লাগিয়ে নিয়ে ইনহেলারটি নিচের দিকে একটি চাপ দিতে হবে। এভাবে বাচ্চা কয়েকবার স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিলেই স্পেসারের ভেতরে থাকা ওষুধ শ্বাসনালিতে পৌঁছে যাবে। দুই চাপ নিতে হলে এক মিনিট পর একইভাবে আরেকটি চাপ নেবে।

সঠিক ইনহেলার প্রয়োগের কয়েকটি পদ্ধতি

অনেকেই হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রোগটিকে খুব ভয় পান। অন্যের সামনে ইনহেলার নিতে অস্বস্তি বোধ করেন। অনেকেই এই হাঁপানি রোগকে ছোঁয়াচে ভাবেন। এগুলো ভুল ধারণা। একই গ্লাসে পানি খেলে, পাশাপাশি অবস্থান করলেও এ রোগ ছড়ায় না। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ওষুধ সেবনের পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, ধুলাবালু ও ধোঁয়া থেকে দূরে থাকা, অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীর গরম রাখা ইত্যাদি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।