ভালো থাকুন

পূজা–পার্বণের খাবারে সতর্কতা

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা। সাধারণত ষষ্ঠী থেকে দশম দিন পর্যন্ত পাঁচ দিন দুর্গোৎসব হয়। বিশেষ দিন মানেই বিশেষ কিছু। পোশাক, খাবার, বেড়ানো, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি, শুভেচ্ছা বিনিময়—যেকোনো উৎসবের অনুষঙ্গ। এর মধ্যে অন্যতম হলো খাবারদাবার।

বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এ সময় উৎসব উপলক্ষে একটু বেশি ক্যালরিবহুল খাবার থাকে। মনে রাখতে হবে, পরিবারে বিভিন্ন বয়সের সদস্য অর্থাৎ ছেলে-মেয়ে, শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ, মা-বাবাও আছেন। বিভিন্ন বয়সের এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অতিথিরও আগমন ঘটে উৎসব–আয়োজনে। তাই সতর্কতা মেনে খাবার নির্বাচন করলে শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্ত থাকা এবং বিশেষ দিনটি আনন্দে উদ্‌যাপন করা সম্ভব।

পূজার বিশেষ খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম লুচি, আলুর দম, খিচুড়ি, হরেক রকমের মিষ্টি খাবার যেমন পায়েস, নারকেলের নাড়ু, মিষ্টি, ক্ষীর, পুরি, মালপোয়া, পিঠা, তিলের নাড়ু ইত্যাদি। আরও আছে শর্ষে ইলিশ।

  • প্রথমেই আসি লুচি-আলুর দমের কথায়। ডুবোতেলে ভাজা এ লুচি আটা বা ময়দা দিয়ে তৈরি হওয়ায় তা শর্করাজাতীয় খাবার। বাড়ির ছোট সদস্য বা যারা বাড়ন্ত বয়সের, তাদের জন্য কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যাঁদের ওজন বেশি অর্থাৎ ওবেসিটিতে ভুগছেন ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাঁরা শর্করা বিশেষ করে ময়দার তৈরি খাবার পরিমিত পরিমাণে খাবেন।

  • খিচুড়ি ও লাবড়া অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। যে কারোর জন্য এটি উপকারী; শুধু কিডনি রোগী ও যাঁদের ইউরিক অ্যাসিড বেশি আছে, তাঁদের সীমিত পরিমাণে খেতে হবে।

সতর্কতা মেনে খাবার নির্বাচন করলে শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্ত থাকা এবং বিশেষ দিনটি আনন্দে উদ্‌যাপন করা সম্ভব।
  • পূজার অন্যতম আকর্ষণ নাড়ু। এ সময় নানা রকম নাড়ু খাওয়া হয়। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্নও অন্যতম আকর্ষণ। পূজা মানেই হচ্ছে, পায়েস–পুলি। এতে সুগন্ধি চাল, ঘন দুধ, চিনি অথবা গুড়, এলাচি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, কিশমিশ যোগ করা হয় সুস্বাদু ও মজাদার করতে। বাড়ির ছোট–বড় সবার জন্য এ খাবার নিরাপদ। তবে যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের জন্য বিশেষ সতর্কতা রয়েছে তাতে। তাঁদের অনেক বেশি মিষ্টি খাওয়া যাবে না। অনেক ধরনের মিষ্টি থাকলে বেছে নিতে হবে যেকোনো একটি। তা–ও পরিমিত পরিমাণে।

  • হাসিনা আক্তার লিপি, ক্লিনিক্যাল পুষ্টিবিদ, ল্যাবএইড ও পার্ক ভিউ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লি., চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন