যান্ত্রিক জীবনের প্রভাবে আমাদের শারীরিক ও মানসিক চাপ এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে ঘুমের সমস্যা। দীর্ঘদিন রাতে ঘুমের সমস্যা হলে, রাতে বারবার ঘুম ভেঙে গেলে বা দীর্ঘ ভ্রমণে আমরা ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকি। ধীরে ধীরে আমরা ঘুমের ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ি। তাই নিয়মিত ঘুমের ওষুধ সেবন শরীরে কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, সে ব্যাপারে সম্যক ধারণা থাকা জরুরি।
যাঁরা নিম্ন রক্তচাপে ভুগছেন।
যাঁরা লিভারজনিত জটিল রোগে ভুগছেন।
যাঁরা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন।
অনেক বয়স্ক ব্যক্তি।
খিঁচুনি রোগে ভুগছেন যাঁরা।
গর্ভাবস্থায়।
দুগ্ধ দানকারী মা।
শারীরিক বা মানসিক যে সমস্যার জন্য ঘুমের সমস্যা হচ্ছে, তা আগে খুঁজে বের করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
প্রতিদিন নিয়মিত সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে।
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে।
দিনে ঘুম থেকে বিরত থাকতে হবে।
ধ্যান বা মেডিটেশন।
ঘুমাতে যাওয়ার ন্যূনতম ৩০ মিনিট আগে সব ধরনের ইলেকট্রিক যন্ত্র থেকে দূরে থাকতে হবে।
ধূমপান বা অন্য যেকোনো নেশাজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
চা, কফি বা যেকোনো ক্যাফেইনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
মাথাঘোরা, মাথাব্যথা।
ডায়রিয়া।
বমি বমি ভাব।
ঘুম ঘুম ভাব।
অ্যালার্জির সমস্যা।
ওজন বৃদ্ধি পাওয়া।
স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া।
আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি।
চিন্তাভাবনার পরিবর্তন, যেমন হেলুসিনেশন।
দীর্ঘদিন খাওয়ার ফলে ওষুধের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ওষুধের প্রতি আসক্তি তৈরি হয়। এর ফলে ওষুধ ছাড়া ঘুমই হয় না, দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়, স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। আবার হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করলে মানসিক অবসাদ, জ্বর, কাশি, ঠান্ডা, শরীর ম্যাজম্যাজ, সারা শরীরে চুলকানিসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই ধীরে ধীরে ওষুধ বন্ধ করতে হবে।
ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ঘুমের ওষুধ বিক্রি করা যায় না। ঘুমের ওষুধের ফলে দেহে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ঘুমের ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।