হঠাৎ করেই ঘুম থেকে উঠে দেখলেন শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল লাল দানা উঠেছে। বুঝে উঠতে পারছেন না কীভাবে হলো, কেনই-বা হলো। এটাকে আমরা স্কিন র্যাশ বলে থাকি। শরীরে র্যাশ ত্বকের কোনো সমস্যা বা বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে হতে পারে। র্যাশের ধরন ও কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা ভিন্ন হতে পারে। কিছু সাধারণ চিকিৎসার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে কমানো যেতে পারে।
ত্বক পরিষ্কার রাখা
ঠান্ডা পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থানের ত্বক ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের র্যাশে চুলকানি থাকলে খুব বেশি ঘষাঘষি করবেন না।
অ্যালার্জি এড়ানো
নতুন প্রসাধনী, কাপড়ের ডিটারজেন্ট বা কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকলে তা ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
শীতল সেঁক
র্যাশের জ্বালাপোড়া বা চুলকানি কমানোর জন্য শীতল সেঁক কার্যকর। একটি পরিষ্কার কাপড়ে বরফ বা ঠান্ডা পানি নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন।
ওষুধের ব্যবহার
যদি র্যাশ বেশি চুলকায় বা অস্বস্তি তৈরি করে, তাহলে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ বা ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের প্রদাহের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক মলম প্রয়োগ করা যায়, তবে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্টেরয়েড–জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করবেন না।
পর্যাপ্ত পানি পান
শরীরে হাইড্রেশন বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। ত্বককে শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং সুস্থ ত্বক বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চিকিৎসকের পরামর্শ
যদি র্যাশ দীর্ঘস্থায়ী হয়, সংক্রমণ দেখা দেয় অথবা জ্বর বা অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গে দেখা যায়, তবে দ্রুত চর্মবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডা. সিনথিয়া আলম, কনসালট্যান্ট, ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল, ঢাকা।