হেড-নেক ক্যানসার বলতে কেবল একধরনের ক্যানসারকে বোঝায় না; বরং মাথা থেকে ঘাড় পর্যন্ত বিভিন্ন অঙ্গের ক্যানসারকে বোঝায়। যেমন মুখের ক্যানসার, গলার ক্যানসার, স্বরের ক্যানসার, নাক বা সাইনাসের ক্যানসার, থাইরয়েডের ক্যানসার ইত্যাদি। আমাদের দেশে হেড-নেক ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি।
পুরুষ ক্যানসার রোগীদের ২০ শতাংশ, নারী ক্যানসার রোগীদের ১০ শতাংশ এ ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত। এর প্রধান কারণ ধূমপান। মুখের ক্যানসারের ক্ষেত্রে ধূমপান ছাড়াও পান, জর্দা, সাদাপাতা, গুল, ভাঙা বা নড়বড়ে বাঁধানো দাঁত, মুখের রুগ্ণ স্বাস্থ্য, দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন, মুখে ভাইরাল ইনফেকশন ও পুষ্টিহীনতা দায়ী।
হেড-নেক ক্যানসারের উপসর্গগুলো হলো গলার স্বর ভাঙা, চিবোতে না পারা, গিলতে কষ্ট, মুখে ও গলায় ব্যথা, শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট, বিশেষ ইন্দ্রিয়—যেমন শ্রবণ, দৃষ্টি, ঘ্রাণ, স্বাদ, কথা বলায় ব্যাঘাত। সর্বোপরি মুখের অবয়বে পরিবর্তন।
হেড-নেক ক্যানসার প্রতিরোধে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা, দাঁত ও মুখের যত্ন নেওয়া, যথাযথভাবে দাঁত ব্রাশ করা, বছরে একবার দন্তচিকিৎসক দিয়ে মুখ পরীক্ষা করানো, সঠিক পুষ্টি বজায় রাখা জরুরি।
এ ছাড়াও গলার স্বর যদি তিন সপ্তাহের বেশি ভাঙা থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
অধ্যাপক ডা. পারভীন শাহিদা আখতার, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, মেডিকেল অনকোলজি, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল