গভীর একাকিত্বের এই সাত লক্ষণ আপনার মধ্যেও নেই তো

বন্ধুবান্ধব তো অনেকেরই থাকে। হয়তো আপনারও আছে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে যদি কেউই আপনার কাছের বন্ধু না হন, তাহলে আপনার একাকিত্বে ভোগার আশঙ্কা আছে। নৈমিত্তিক বন্ধুত্ব, অর্থাৎ যে বন্ধুত্বে গভীরতা নেই, সেই বন্ধুর সংখ্যা অনেক হলেও আপনি আদতে একা।

একজনের মধ্যে সব ধরনের গুণ থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। তবে পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষই কোনো কোনো না গুণের অধিকারী। নিজের ভালো দিকটি সম্পর্কে আপনি নিজে অবশ্যই জানেন। কিন্তু নিজের সেই ভালোটুকু নিয়েও যদি আপনার মধ্যে সন্দেহ থাকে, তাহলে হয়তো আপনি একাকিত্বে ভুগছেন।

অতিরিক্ত ভালো হতে চেষ্টা করাও একাকিত্বের একটি লক্ষণ। যখন আপনি একাকিত্বে ভুগবেন, তখন অন্যের কাছে নিজেকে ভালো হিসেবে উপস্থাপন করার বাড়তি তাড়না অনুভব করতে পারেন আপনি। আদতে এটি ভালো ব্যাপার নয়। কারণ, আপনি নিজের তরফ থেকে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, এমনকি কখনো কখনো নিজের সাধ্যের বাইরে গিয়েও অন্যকে সাহায্য করছেন, কিন্তু কেউ আপনার কাছের বন্ধু হয়ে উঠছেন না। এই টানাপোড়েনে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন আপনি।

কারও সঙ্গেই ভালোভাবে মিশতে না পারার ফলে অন্যের সামনে নিজেকে অদৃশ্য অনুভব করতে পারেন আপনি। ব্যাপারটা এমন, যেন অন্যের আনন্দ–বেদনার মধ্যে আপনার কোনো জায়গাই নেই। আপনি যেন কেউ না। নিজের পরিপূর্ণ অস্তিত্ব নিয়েও আপনি যেন অস্তিত্বহীন।

অন্য কারও আপন হয়ে উঠতে না পারার কারণে আপনি সামাজিক আয়োজন এড়িয়ে চলতে পারেন। কারণ, আপনি জানেন, কেউ আপনাকে পুরোপুরি বোঝে না, কারও কাছেই আপনি আপন নন, কারও কাছেই আপনি গুরুত্বপূর্ণ নন।

ভেতর থেকে একা হয়ে পড়লে আপনি কাজেকর্মে উদ্যম হারাতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন সম্পর্কের পরিচর্যা করার ক্ষেত্রেও আপনি পিছপা হতে পারেন। ভালো না লাগার এক অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হতে পারেন আপনি।

আপনি নিজে যা অনুভব করছেন, সেটাকে সত্যিকারের অনুভূতি মনে না–ও হতে পারে আপনার। কারণ, একাকিত্বের এই অনুভূতি ভীষণ কষ্টকর। তবে নিজের আবেগ থেকে বিচ্ছিন্নতার এই ভাবনার কারণেও আপনার কষ্ট বাড়তে পারে।

^{সূত্র: ভেরি ওয়েল মাইন্ড}