রক্তের সুগার মাপতে গিয়ে অনেক সময় ছোটখাটো কিছু ভুলের কারণে পরিমাপে ভুল হয়ে যায়, যা থেকে সৃষ্টি হতে পারে বিভ্রান্তি।
হাত না ধোয়া
যাঁর আঙুল থেকে রক্ত নেওয়া হচ্ছে, তাঁর হাত অবশ্যই সাবানপানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত। ধোয়ার পর হাত ভালোভাবে পরিষ্কার টিস্যু বা কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। হাত ধোয়া সম্ভব না হলে অ্যালকোহল প্যাড দিয়ে হাত মুছে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রেও হাতের অ্যালকোহল শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তাড়াতাড়ি শুকাতে অ্যালকোহলটুকু কোনো কাপড় বা অন্য কিছু দিয়ে মুছে ফেলা উচিত নয়।
পর্যাপ্ত রক্ত বের করতে না পারা, বারবার ছিদ্র করা
যে সুই (ল্যানসেট) ব্যবহার করছেন, তা দিয়ে পর্যাপ্ত গভীরতায় ছিদ্র করা না হলে প্রয়োজনীয় রক্তের ফোঁটাটি বের হবে না। আবার বারবার ছিদ্র করাও ঠিক নয়। তাই সতর্কতার সঙ্গে প্রথমবারেই পর্যাপ্ত গভীরতায় ছিদ্র করতে হবে।
রক্ত বের করতে আঙুলে টিপ দেওয়া বা জোরে চাপ দেওয়া
রক্ত বের না হলে অনেকে আঙুল টিপে বা জোরে চাপ দিয়ে রক্ত বের করার চেষ্টা করেন। এটা ঠিক নয়। কেবল মৃদু চাপ প্রয়োগ করা যেতে পারে।
পর্যাপ্ত পানি পান না করা
পানিশূন্যতা রক্তে সুগারের মাত্রা বদলায়। পানিশূন্য অবস্থায় সুগার মাপবেন না।
ভুল যন্ত্র, ভুল কোড
কোনো কোনো গ্লুকোমিটারের জন্য কোডের প্রয়োজন হয়। কোড ভুল করলে ফলাফল ভুল আসবে। কেনার সময়ই গ্লুকোমিটারের ব্যবহারবিধি এবং গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে না নিলে পরে সমস্যায় পড়তে পারেন।
মেয়াদোত্তীর্ণ স্ট্রিপ ব্যবহার
স্ট্রিপের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আপাতদৃষ্টে ‘ভালো’ মনে হলেও তাতে ভুল ফল আসতে পারে।
রেকর্ড না রাখা
সুগার মেপে লিখে না রাখলে আপনার সুগারের মাত্রার ধারা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে না। তাই আপনার সুগার নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, কিংবা কোনো বেলার কোনো ওষুধ বদলাতে হবে কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চিকিৎসক মুশকিলে পড়বেন।
ভুল সময়ে সুগার মাপা
আপনার জন্য খাওয়ার আগে নাকি পরে সুগার দেখা প্রয়োজন, আপনার চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন। খাওয়ার আগে মাপার অর্থ হলো, খালি পেটে মাপা। আবার খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর যদি সুগার মাপার কথা থাকে, সে ক্ষেত্রেও কিন্তু সময়ের হেরফের করা যাবে না।