মিষ্টান্ন তো বটেই, নানা ধরনের মজার খাবার গ্রহণের বিষয়েই ডায়াবেটিস রোগীদের বিধিনিষেধ থাকে। তা হলে কি সব ডায়াবেটিস রোগীর জীবনই ‘বিস্বাদ’? নিশ্চয়ই নয়। ডায়াবেটিস নিয়েও সুস্বাদু খাবার খেতে পারবেন। ক্যালরির হিসাব–নিকাশ ঠিক রেখে এসব খাবার খেতে বাধা নেই। সাধারণ খাবারগুলোয় বৈচিত্র্য এনে স্বাদে বদল আনা যায়। তাই ডায়াবেটিস ধরা পড়লেও ভোজনরসিকদের হতাশ হতে বারণ করলেন ঢাকার গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সাইন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খান।
কীভাবে খাবেন?
চর্বি ছাড়া মাংস খেতে পারেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষজাতীয় খাবার খেলে চট করে ক্ষুধাও পায় না। তেমনি আবার লাল আটার রুটি, ওটস ও শাকপাতার মতো আঁশসমৃদ্ধ খাবারও দীর্ঘ সময় পেটে থাকে। তাই এসব খাবার খেলেও সহজে ক্ষুধা লাগে না। বৈচিত্র্য আনতে কোনো দিন হয়তো ওটস দিয়ে ফ্রাইড রাইসের মতো পদ রান্না করা হলো, কোনো দিন আবার সামান্য চিনি দিয়ে ওটসের পায়েসও রাঁধা যায়। নানা ধরনের বাদামও খেতে পারেন, তবে অতিরিক্ত নয়।
কী খাবেন, কী বাদ দেবেন
রান্নায় খানিকটা পনির বা মাখন দিতে পারেন।
টক ও পানসে ফল খেতে পারেন। এসব ফলের সালাদ ভালো। এসব ফলের রস দিয়ে পানীয়ও তৈরি করতে পারেন। তবে চিনি যোগ করা যাবে না। যেকোনো ধরনের চিনিই এড়িয়ে চলা উচিত।
মিষ্টতার জন্য খাবারে সামান্য মধু বা খেজুর যোগ করতে পারেন।
ভাত-রুটির পরিমাণ কমিয়ে দিন। আলু খাবেন না।
চর্বি খাবেন না। অতিরিক্ত তেল এড়িয়ে চলুন।
খেয়াল রাখুন
কালেভদ্রে একটু মিষ্টিও খেতে পারেন। কিন্তু ওই বাড়তি ক্যালরিটুকু ক্ষয় করতে বাড়তি ব্যায়ামও করতে হবে। ডায়াবেটিসের সঙ্গে অন্য রোগ থাকলে খাবার তালিকায় আরও পরিবর্তন আনতে হতে পারে। এই যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ কিংবা দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ কেবল ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একজন রোগী যা কিছু খেতে পারবেন, এসব রোগের কোনোটি থাকলে, সেই খাবার তালিকায় আরও কিছু পরিবর্তন আনার প্রয়োজন পড়ে।